কলকাতা: ভোট শেষ৷ কাউন্টডাউন শুরু৷
কড়া নিরাপত্তায় ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর (Bhawanipur) কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনে নির্বাচন হয়েছে৷ আগামিকাল ৩ অক্টোবর ওই তিন কেন্দ্রের ভোট গণনা৷ তবে তিন কেন্দ্রের মধ্যে সবার নজর থাকবে ভবানীপুরের দিকে৷ যে কেন্দ্রের প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ উপনির্বাচনে তাঁর জয় নিয়ে দুশো শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব৷ ভোটের দিন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়ে দিয়েছিলেন, দিদি এবার ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবে৷ তাই ফল প্রকাশের পর সবুজ আবির উড়িয়ে রাস্তায় জয়োল্লাসে ব্যাকুল তৃণমূল কর্মীরা৷
আরও পড়ুন: কলকাতা টিভির পাশে মমতা, ধন্যবাদ জানিয়ে সম্পাদক কৌস্তুব রায়ের টুইট
তবে গণনাকেন্দ্রের বাইরে কোনও রাজনৈতিক দলের জমায়েতের অনুমতি নেই৷ একে তো করোনা৷ তার উপর রাজনৈতিক সংঘর্ষের আশঙ্কা৷ সেই জন্য গণনাকেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন৷ অর্থাৎ গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি যেতে পারবেন না৷ সকাল সাতটা থেকেই গণনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে৷ সেটা গড়াতে পারে বেলা পর্যন্ত৷ যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, সকাল ১১টার পরই চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে৷
ভবানীপুরের ভোট গণনা হবে আলিপুরে জেলাশাসকের অফিসে৷ ২০ রাউন্ডের বেশি গণনা হবে৷ সেখানে এখন শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত ব্যস্ততা৷ কার্যত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গণনাটি৷ উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরাও৷ কড়া নিরাপত্তা রয়েছে স্ট্রং রুমের বাইরেও৷ সশস্ত্র অবস্থায় স্ট্রং রুমের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ স্ট্রং রুমের বাইরে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা৷ কন্ট্রোল রুমে বসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের উপর নজর রাখছেন৷
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের অনুমতি মিলেছে, পুজোর অনুদান পাবে ক্লাবগুলি, জানালেন মমতা