জলদাপাড়া: শুক্রবার থেকে স্থায়ীকরণ সহ চার দফা দাবিকে সামনে রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতিতে (Work Stoppage) নামলেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের (National Parks) ১৪৫ জন অস্থায়ী মাহুত ও পাতাওয়ালা। এতে চুড়ান্ত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে জলদাপাড়া (Jaldapara) জাতীয় উদ্যান জুড়ে। ওই আন্দোলনের কারনে বন্ধ রয়েছে পর্যটকদের জন্যে হাতি সাফারি। সঙ্গে মুখথুবড়ে পড়েছে জঙ্গল (Forest) সুরক্ষার কাজ।
অস্থায়ী মাহুত ও পাতাওয়ালাদের অভিযোগ এই অগ্নিমূল্য বাজারে তাঁদের মাত্র ৭২৪০ টাকা মাসোহারা দেয় বনদফতর। ১৯৯৭ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী মাহুত ও পাতাওয়ালাদের শূন্য পদে বন্ধ রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। তাঁদের আরও অভিযোগ য, জঙ্গল সুরক্ষার কাজে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনায় মাহুত ও পাতাওয়ালাদের মৃত্যু হলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাউকে কাজ দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র বিমার টাকা দিয়ে দায় সারে বনদফতর। আন্দোলনকারীরা হুমকি দিয়েছেন যে, তিনদিনের মধ্যে তাঁদের দাবি গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে বনদফতর আলোচনায় না বসলে তাঁরা তিনদিন পর থেকে কুনকি হাতিদের খাওয়াদাওয়া ও দেখভালের সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। তাতে অভুক্ত থাকতে হবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ৭৮টি পোষা হাতিকে।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment | পয়লা বৈশাখেও নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলবে
ইতিমধ্যেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। ওই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী মাহুত ও পাতাওয়ালারা যদি হাতিদের দেখভালের পরিষেবা বন্ধ করে দেন তবে বেকায়দায় পড়তে হবে অসহায় কুনকি হাতিদের। কারন দৈনিক একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতির কমপক্ষে একশো লিটার পানীয় জল ও এক কুইন্টাল ঘাস বিচালির প্রয়োজন হয়, সঙ্গে রয়েছে স্নানের জলের যোগান। সব মিলিয়ে জঙ্গল সুরক্ষার কাজ ভেঙে পড়ায় চোরা শিকারিরা যে মাথাচারা দিয়ে উঠবে না, তেমন আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও অস্থায়ী মাহুত ও পাতাওয়ালাদের ওই অনড় অবস্থান নিয়ে বনকর্তাদের কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।