প্রয়াগরাজ: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এনসেফালাইটিস, নিউমোনিয়া-সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা৷ চিকিৎসার জন্য বাচ্চাদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন বাবা-মায়েরা৷ অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রয়াগরাজের মোতিলাল নেহরু হাসপাতালে শয্যার আকাল দেখা দিয়েছে৷ একই বেডে পাশাপাশি শুয়ে দুই বা তিনজন শিশু৷ হাসাতালের ভেতর-বাইরে বাবা-মায়েদের ভিড়৷ এখানে চিকিৎসা চলছে ১৭১ জন শিশুর৷ রবিবার জানিয়েছেন প্রয়াগরাজের সিএমও চিকিৎসক নানক সারণ৷
করোনার প্রাদুর্ভাব একটু কমতেই ডেঙ্গু, ভাইরাল জ্বর, এনসেফালাইটিসের মতো রোগ থাবা বসাচ্ছে শিশুদের শরীরে৷ নিউমোনিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছে শিশুরা৷ মোতিলাল নেহরু হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাদের৷ সিএমও নানক সারণ বলেন, ‘শিশুদের ওয়ার্ডে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছিলাম সেখানে ১২০টি শয্যা রয়েছে৷ অথচ শিশু ভর্তি হয়েছে ১৭১ জন৷ তাই আমরা একটি শয্যায় ২-৩ জন শিশুকে রেখেছি৷ তবে ডেঙ্গুর কেস এখানে কম৷ এনসেফেলাইটিস এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া শিশুদের এখানে রাখা হয়েছে৷’
আরও পড়ুন: কৃষি বিল প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ‘ঘর ওয়াপসি’ নয় : হুঙ্কার টিকাইতের
উত্তরপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ এখন জল নামতেই অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে৷ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে জ্বর৷ পেট খারাপ বা অন্যান্য জলবাহিত রোগগুলি মাথাচাড়া দিয়েছে৷ অধিকাংশ জায়গাতেই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা৷ তাই শিশুদের চিকিৎসা করাতে বাবা-মায়েরা ছুটে আসছেন মোতিলাল নেহরু হাসপাতালে৷ জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে ২০০ বেডের একটি ওয়ার্ডের কাজ চলছে৷ কিন্তু এখন রোগীর ভিড় যেভাবে উপচে পড়ছে তাতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক থেকে নার্সরা৷
আরও পড়ুন: আরএসএসের সঙ্গে তালিবানের তুলনা, বিজেপির কোপে জাভেদ আখতার
নরেন্দ্র কুমার নামে এক সন্তানের বাবার অভিযোগ, ‘আমার মেয়ে এখানে ভর্তি৷ কিন্তু চিকিৎসকরা ঠিক মত পরিষেবা দিচ্ছে না৷ কোনও শয্যা নেই৷ হাসপাতালে থেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে আমার সন্তান৷’ মায়াঙ্ক কুমার নামে আরেক সন্তানের বাবা জানান, তাঁর ছেলে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ এনেছেন তিনি৷ বলেন, ‘অনেক শিশুর দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন৷’