তমলুক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে চোরাস্রোত বইছিল। বিজেপি-র প্রচারে বিভ্রান্ত ঘাসফুল শিবিরের তৃণমূলস্তরের নেতা-কর্মীরা দল ছাড়ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সামনে রেখে বাংলার শাসকদলের (Trinamool Congress) ঘর ভাঙার খেলায় মেতেছিল গেরুয়া শিবির। একুশের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ছবিটা আমূল বদলেছে। বিজেপি (Bengal BJP) বাংলার ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়ে যাঁরা শিবির বদল করেছিলেন, তাঁরা তো নিজের ঘরে ফিরছেনই। আদি-নব্যের দ্বন্দ্বে ভোটের পর ছন্নছাড়া বিজেপির নিজের ঘরেও ভাঙন ধরিয়ে দিয়েছে বাংলার শাসকদল (TMC Joining)। আর এই ঘরে ফেরার স্রোতেই এ বার ভাঙন ধরল খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে।
বৃহস্পতিবার তমলুক বিধানসভা এলাকায় তমলুক নগর মণ্ডলের বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ মহাপাত্র, তমলুক নগর মণ্ডলের বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সৌমেন চক্রবর্তী-সহ প্রায় ৩০০ জন কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী সৌমেনকুমার মহাপাত্র।
এদিন যোগদানকারীরা বলেন, ‘ভুল বুঝে আমরা বিজেপিতে চলে গিয়ে ছিলাম। আবার নিজের ঘরে ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।‘ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করে আশা করেছিলেন, তাঁর অনুগামীরা সকলে বিজেপিতে যোগদান করবেন। কিন্তু নিজের জেলাতেই শাসক শিবিরে বড় ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হন। হাতে গোনা কয়েক জন নেতা ছাড়া তাঁর জেলায় কেউ গেরুয়া শিবিরে যোগ দেননি।
আরও পড়ুন: BJP Bengal: বিজেপির সদর দফতরে নেতাদের ঘরে ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকরা
বিধানসভা ভোটে তমলুক বিধানসভা আসনে জিতে তৃণমূলের প্রার্থী সৌমেনকুমার মহাপাত্র মন্ত্রী হয়েছেন। এখন তাঁর হাত ধরেই ঘাসফুল শিবিরের পুরনো কর্মীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।