নয়াদিল্লি: বৃষ্টি, হড়পা বান, ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, উত্তরাখণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। এর মধ্যে হিমাচলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সে-রাজ্যে একই পরিবারের ৮ সদস্য সহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনে খোঁজ মিলছে না। উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টি-হড়পা বানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ জনের খোঁজ এখনও মেলেনি।
উত্তরাখণ্ডের প্রায় সবকটি নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বেশ কয়েকটি সেতু ভেসে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেরাদুনের তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির লাগোয়া তামাশা নদী বিপদসীমা উপর দিয়ে বইছে। ভেসে গিয়েছে আস্ত একটি পুল। মাতা বৈষ্ণোদেবী গুমফা যোগ মন্দিরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। হরিদ্বারেও প্রায় বিপদসীমার দিয়ে বইছে গঙ্গা।
মহানদীর জলে প্লাবিত হয়েছে ওডিশার বিস্তীর্ণ এলাকা। সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঝাড়খণ্ডেও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচলের মান্ডি নদীর জলে ভেসে গিয়েছে একাধিক এলাকা। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ-এসডিআরএফের বিশেষ দল। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।
হিমাচল সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন বিপর্যস্ত এলাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ২৫ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে জোর দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। আজও হিমাচলে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে।