উত্তরপ্রদেশে সাড়ে ৭ হাজার মাদ্রাসা ‘অবৈধ’ বলে উঠে এল এক সমীক্ষায়। যদিও এখনও সম্পূর্ণ পরিসংখ্যান তৈরি হয়নি। তবে শুক্রবার, সমীক্ষার শেষদিন পর্যন্ত অন্ততপক্ষে সাড়ে ৭ হাজার মাদ্রাসাকে অবৈধ বলে চিহ্নিত করেছে সরকার। রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ডঃ ইফতিকার আহমেদ জাভেদ জানিয়েছেন, মোট ৭৫ জেলায় মাদ্রাসাগুলির উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আমরা বলতে পারি, শেষদিন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মাদ্রাসাকে অবৈধ বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সরকারিভাবে মোট সংখ্যাটি শীঘ্রই জানা যাবে।
১৫ নভেম্বরের মধ্যে জেলাশাসকদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলে রাজ্য সরকারের হাতে সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে। তারপর ফের একদফা রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান জাভেদ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুরের মতো কয়েকটি এলাকায় বন্যার জন্য সমীক্ষায় দেরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর থেকে এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে।
আরও পড়ুন: Shivraj Patil on Jihad: শ্রীকৃষ্ণও অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, একা কোরান নয়
সরকারি সূত্র আরও জানিয়েছে, আপাতত এই অবৈধ মাদ্রাসাগুলিকে একটা সুযোগ দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্যের আইন অনুযায়ী বিধিনিষেধ মান্য করে চলতে হবে। তারপরই তাদের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলবে। তারা নিয়মমতে চললে হতে পারে সরকার মাদ্রাসাগুলির কর্মীদের অনুদান এমনকী অশিক্ষক কর্মচারীদেরও সাহায্য করবে।
জাভেদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষার শেষে ওইসব শিশুদের ভালো শিক্ষা দেওয়া হবে। চেষ্টা করা হবে যাতে তারা শিক্ষার মূলস্রোতে ফিরতে পারে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে ১৬ হাজার ৫১৩টি স্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬০টি মাদ্রাসা সরকার পোষিত। যদিও রাজ্যের উলেমা ও মৌলবিরা এ জাতীয় সমীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।