কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি চি এস শিভগননমের (Chief Justice T. S. Sivagnanam) ভর্ৎসনার পরই এই পদক্ষেপ কমিশনের। কেন্দ্রের কাছে আগেই ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল কমিশন। তা নিয়ে বুধবার আদালতের তোপের মুখে পড়ে কমিশন। হাইকোর্ট বলে ২০১৩ সালে যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল তার চেয়ে বেশি বাহিনী দিয়ে এবারের পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে হবে। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনেই আগের ২২ কোম্পানির পর আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের ২৩ জেলায় আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সব জেলা মিলিয়ে মোট ৬১ হাজার বুথ রয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রথমে প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি বাহিনী অর্থাৎ ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। এরপরই বিরোধীরা রে রে করে তেড়ে ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে কমিশন। শাসকদল ভোট লুঠের রাজনীতি করছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে নারাজ। কমিশনের নিজের অবস্থানে স্থির থেকে জানিয়েছে, ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের নজরদারিতে ভোট করা হবে। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের তোপের মুখে পড়তে হয়। কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনিহা দেখে প্রধান বিচারপতি কমিশনের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, নির্দেশ না মানতে পারল ছেড়ে দিন। আমাদের উপরে ছেড়ে দিন। আমরা সবটাই দেখে নিচ্ছি। দরকার হলে রাজ্যপাল নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Governor | রাজ্যপাল অশান্তির দায় চাপালেন রাজীবের ঘাড়ে
সন্ত্রাস ঠেকাতে প্রধান বিচারপতি কমিশনকে নির্দেশ দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে সব জেলায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে হবে। ২০১৩ সালের থেকেও বেশি পরিমান বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। আদালতের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাঠে অতিরিক্ত ৮০০ বাহিনীর জন্য আবেদন জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, একদফায় ভোট, কোনও সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় এক সঙ্গে ৮০০ বাহিনী পাঠানো। যদি সন্ত্রাস হীন ভোট করতে হয় তবে এক দফায় নয় কয়েক দফায় ভোট করাতে হবে। ২০১৩ সালেও এই জন্য ভোট কয়েক দফায় করতে হয়েছিল।