ঢাকা: পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশে উদ্ধার হল প্রাচীন মূর্তি। পাথরের তৈরি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর ওই মূর্তির বয়স ১০০০ বছরের বেশি। ওই প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার ঘিরে কৌতুহল জন্মেছে দুই দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক মহলে। কালো রঙের ওই মূল্যবান মূর্তি প্রাচীন ভারতের স্থাপত্যের বড় নিদর্শন।
আরও পড়ুন- আক্রান্ত দেবাংশু সুদীপ-দেবাংশু, তড়িঘড়ি ত্রিপুরা যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল
অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল বাংলাদেশ। সেই কারণে ওই দেশে ভারতীয় ভাস্কর্য থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই ধরণের মূর্তি আগেও উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে। তবে এই মূর্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ তার বয়স। সহস্রাব্দ প্রাচীন মূর্তি এর আগে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার হয়নি।
আরও পড়ুন- অলিম্পিক্সে সুবেদার নীরজের সোনা জয়ে মুখ উজ্জ্বল ভারতীয় সেনার
বাংলাদেশ পুলিশ ওই মূর্তি উদ্ধার করেছে একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে। কুমিল্লা জেলার বড়ো গওয়ালি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর ওই মূর্তি। কালো রঙের পাথরের তৈরি মূর্তির উচ্চতা ২৩ ইঞ্চি। ৯.৫ ইঞ্চি প্রস্থের ওই মূর্তিটির ওজন আনুমানিক ১২ কিলোগ্রাম। ভারতীয় ঐতিহ্যের অন্যতম বড় নিদর্শন হচ্ছে এই মূর্তি। যা একনাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই।
আরও পড়ুন- পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে উজ্জ্বল ভারতের প্রাচীন গ্রন্থ উপনিষদ
মূর্তি পুজো ভারতের অনেক প্রাচীন সংস্কৃতির অঙ্গ। আর সেই পুজোর সঙ্গেই জড়িয়ে থাকা নানাবিধ শিল্পকর্ম। ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি, গুরুত্ব এবং ঐতিহ্য অনেকাংশেই ওই সকল মূর্তির উপরেই নির্ভরশীল। ইতিহাসবিদদের মতে যে মূর্তি কুমিল্লা জেলায় উদ্ধার হয়েছে সেই ধরণের মূর্তির চল ভারতীয় উপমহাদেশে শুরু হয় খ্রীষ্টপূর্ব ১৮০০ থেকে ২৫০০ শতকে।
আরও পড়ুন- মুসলিম হয়ে অমুসলিমকে বিয়ে ইসলাম বিরুদ্ধ : AIMPLB
শুরুতে মাটি আগুনে পুড়িয়ে ওই প্রকারের শিল্পকর্ম করা হতো। যা টেরাকোটা নামে পরিচিত। পরে শুরু হয় পাথরের ব্যবহার। খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০ শতক থেকে পাথরের মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়। তখন ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসন চলছে। মাটির কাজ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে পাথরের মূর্তি নির্মাণ করতে শুরু করে দক্ষ শিল্পীরা। যা সমাদৃত হতে শুরু করে সমগ্র বিশ্বে।
আরও পড়ুন- লিকুইড অক্সিজেনের পর অ্যাম্বুলেন্স, বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত ভারতের
সেই প্রকারের বহু প্রাচীন শিল্পকর্ম ভারতে ছিল। যেগুলির অনেক কিছুই চুরি হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেসব দেখতে পাওয়া যায়। বিদেশি শাসকেরা অনেক সম্পদ লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোহিনূরের হীরে।