আলিপুরদুয়ার: কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তখনই সামনে এল কেএলও প্রধান জীবন সিংহের ভিডিয়ো বার্তা। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে আসা ওই ভিডিয়ো বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি কসকাতা টিভি ডিজিটাল। ওই বার্তায় ফের জীবন কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তীব্র সমলোচনা করেন। কোচ-কামতাপুরি জনজাতির মানুষদের বঞ্চনা নিয়েও সরব হন কেএলও প্রধান।
ওই ভিডিয়ো বার্তায় জীবনের অভিযোগ, ২৬ জানুয়ারির সাধারণতন্ত্র দিবসে সারা দেশ যখন আজাদির অম্রুত মহোৎসবে সামিল হবে, তখন বঞ্চিত হয়েই থাকতে হবে আপামর কোচ-কামতাপুরি জনজাতির মানুষদের। স্বাধীনতার এত বছর পর দেশের অন্যান্য জনজাতির মানুষদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হলেও, কোচ-কামতাপুরিদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৫০ সালে কোচবিহার মার্জার চুক্তিকেও মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বৃষ্টি ও ঠান্ডার রাতে সন্তানসহ মাকে ঘরে ঢুকতে দিলেন না শাশুড়ি
দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের কোনও রাজ্য অথবা মায়ানমারের কোনও গোপন ডেরা থেকে কালাশনিকভ পরিবেষ্টিত হয়ে ভিডিয়ো বার্তায় জীবন সিংহ ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁর আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
রবিবারই গুয়াহাটির আমিনগাঁওতে আলোচনায় বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের কেএলও নেতা-নেত্রীরা। কোচদের আটটি সংগঠনও ওই বৈঠকে যোগ দেয়। সেই বৈঠকে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি খসড়া প্রস্তাবও প্রস্তুত করা হয়েছে। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জীবন সিংহের পালিত পুত্র দেবরাজও। তাঁর সামনেউ বাংলার রাজবংশী নেতা মহেশ রায় বলেন, শুধু অসম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তি চুক্তি হবে না। বাংলাকে দূরে সরিয়ে রেখে কোনও আলেচনা হতে পারে না। রাজ্যের আর এক কেএলও নেতা টম অধিকারী জীবন সিংহকে মূল স্রোতে ফিরে অধিকার অর্জনের পথ প্রশস্ত্ব করার কথা বলেন। তিনি অসম, বাংলা ও দিল্লি সরকারকে দ্রুত আলোচনা শুরুর কথাও বলেন।
সূত্রের খবর পৃথক রাজ্যের বিকল্প হিসেবে কেএলও এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদাকেও মেনে নিতে রাজি। তবে জনজাতির সম্মান সহ অন্যান্য দাবিদাওয়া তাদের থাকছেই। রবিবারের বৈঠকে জীবনের পালিত পুত্র দেবরাজ বলেন, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার পৃথক রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল না দিলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এই নরমগরম আবহাওয়ার মধ্যেই সাধারণতন্ত্রের ঠিক আগে জীবন সিংহের ভিডিয়ো বার্তা নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।