কলকাতা: প্রাক্তন আইপিএস কর্তা নজরুল ইসলামের চাকরি সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। চাকরি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগের বিচার চাকরির আইন মেনেই হয়। সেই অভিযোগ কখনই ফৌজদারি আইনের বিচার্য বিষয় হতে পারে না, জানাল আদালত।
২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী, তৎকালীন মুখ্যসচিব ও অন্যান্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলামের দাবি, তাঁকে তাঁর চাকরির সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে ফৌজদারি আইনে স্থানান্তরিত করে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও অন্যান্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আদালত এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিক আদালত। আইপিএস কর্তা নজরুলের এই আবেদন খারিজ করে দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত।
আরও পড়ুন: Republic Day: সাধারণতন্ত্রে কঠোর নিরাপত্তা, মাওবাদী বনধের ডাকে সতর্ক পুলিস
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে আবেদন জানান নজরুল ইসলাম। সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, আবেদনকারীর অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। যে ধারায় তিনি আবেদনের সুযোগ চাইছেন সেই ধারাটি আইনের পরিভাষায় কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজ্য সরকারের শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ চাকরি সংক্রান্ত অভিযোগ। চাকরি সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য সার্ভিস আইন রয়েছে। এছাড়াও তাঁর চাকরি সংক্রান্ত বহু অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে নিস্পত্তি হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পূর্বে আবেদনকারীর এই একই ধরনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ। সুপ্রিম কোর্টেও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তাই এই আবেদন কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আবেদন খারিজ করে দিয়ে মন্তব্য করেন, এটি সম্পূর্ণ সার্ভিস সংক্রান্ত বিষয়। সার্ভিস সংক্রান্ত বিষয় কখনই ফৌজদারি আইনে স্থানান্তরিত হতে পারে না।