Written By স্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
বর্ষায় নদীগর্ভ থেকে অবাধে চলছে বালি লুঠ। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ২৭জুন থেকে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলা বন্ধ করা হয়েছে। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিন-দুপুরে চলছে বালি চুরির কারবার। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বাঁকুড়া ২নম্বর ব্লকের ভাদুল, সানবাধা এলাকায় দ্বারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরী নদীর সংযোগস্থল থেকে প্রতিদিন লুঠ হয়ে যাচ্ছে বালি। শুধু এই এলাকাই নয় ভূতসহর, বাঁকিস্যান্দড়া, পলাশতলা,,মানকানালি, শুকনিবাস, নন্দীগ্রাম সহ গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর নদীর একাধিক এলাকায় একশ্রেণীর অসাধু বালি ব্যবসায়ীরা এই বালি পাচার কারবার করছে বলেই জানা গেছে। প্রতিদিন ট্রাক্টারে করে নদীগর্ভ থেকে বড় বড় গর্ত করে অবাধে চলছে বালি লুঠের কারবার। সকাল থেকেই ওই সমস্ত এলাকায় ট্রাক্টরে করে চলছে অবাধে বালি চুরি। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই এলাকায় কোনো সরকারি অনুমোদিত বালি ঘাট নেই। পাশাপাশি ২৭ জুন থেকে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। নিষেধাজ্ঞার পরেও একশ্রেণীর বালি কারবারি তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করেন নি। দ্বারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরী- এই দুই নদী থেকে বাঁকুড়া ১নম্বর ব্লক এবং বাঁকুড়া ২নম্বর ব্লকে এমনই বেশ কিছু এলাকায় ট্রাক্টর করে বেআইনি বালি কারবার রমরমিয়ে চলছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এইভাবে বেআইনি বালি কারবার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই সমস্ত এলাকায়। সারাবছর এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী এই বালি চুরির কারবার করে । যত্র তত্র বড় বড় গর্ত করে বালি তুলে নদীর নাব্যতা নষ্ট করছে যার ফলে এলাকার মানুষও নদীর গ্রাসের কবলে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। স্থানীয় মানুষ বালির এই অবৈধ কারবারের বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও আখেরে লাভ কিছু হয়নি। এলাকার মানুষ এই বেআইনি বালি কারবার সম্পূর্ন বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন একাধিকবার, কিন্তু যেই কে সেই। বালি কারবার রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন বাঁকুড়া জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।