Written By শৌভিক পাণ্ডা
২০১৮ সালের প্রতিমা
ব্রহ্মপুর অগ্রদূত ক্লাব
কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন,
‘আয় আরও হাতে হাত রেখে
আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি’----
আজকের এই অস্থির সময়ে এই বক্তব্য আজও সমান প্রাসঙ্গিক। প্রবহমান সমাজজীবনে আজ অসংখ্য অসঙ্গতি, বৈপরীত্য, দ্বন্দ্ব, অমানবিকতা ও নৈরাশ্যের ঘেরাটোপে বন্দি। স্বার্থপরতা, অনৈতিকতা গোটা মানব সমাজকে গ্রাস করেছে। আধুনিক সভ্যতার নবতর চাকচিক্যে প্রচলিত রীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। গতিময় জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে মানুষ আজ বড়ই আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থান্বেষী অবিবেচক হয়ে পড়ছে। সেই অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণে ব্রতী হয়ে অশুভশক্তিকে বিনাশ করতে সুন্দর স্থিতিশীল মানবিক সর্বজনীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ৫০ তম বর্ষে ব্রহ্মপুর অগ্রদূত ক্লাবের পরিচালনায় হরিসভা সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এবছরের প্রয়াস, ‘বেঁধে রেখো প্রাণ।’ সমগ্র ভাবনা ও বিন্যাসে ‘ইচ্ছে ডানা’। প্রতিমা শিল্পী সিদ্ধার্থ পাল। প্রধান পৃষ্ঠপোষক অনিতা কর মজুমদার(শীল)।
পুজো কমিটির তরফে সহ সম্পাদক রাজীব পালিত বলেন, ‘আমাদের এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের উৎসবের আয়োজনে থাকবে না কোনও ম্লানমুখ, ম্রিয়মান দিন। প্রত্যয়, স্বপ্ন আর বিশ্বাস ঘিরে থাকবে আমাদের। মানুষে মানুষে বিবাদ, দাঙ্গা, বিদ্বেষ, হানাহানির বদলে হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বেঁচে থাকার লড়াই করার প্রেরণা যোগাবে এবছরের মায়ের আরাধনা। বাজবে একতার জয়গান। দুর্গোৎসবের আবহ আমাদের অন্তরে অন্তরে জাগিয়ে তুলবে এক উদ্দীপনা। এ উদ্দীপনা জীবনের, এ উদ্দীপনা উৎসবের।’
তিনি আরও জানান, সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ১৪ জুলাই আয়োজন করা হয় খুঁটি পুজোর। সেই উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় প্রভাত ফেরী, বৃক্ষরোপন, জল সঞ্চয় ও ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের।