Written By অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
পুরী। এর বেশি আর কিছু বলার দরকারই পড়ে না। বাঙালির অনেকদিনের হাওয়াবদল আর মধুচন্দ্রিমার স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই নীল সমুদ্রতটে। যে সমুদ্রের ঢেউ আজো বালির বুকে অদৃশ্য আখরে লিখে যায় নবদ্বীপের নিমাই পণ্ডিতের নাম। যেখানে সাদা মেঘের দিকে মাথা তুলে দেয় পাথরের গরুড়-স্তম্ভ। আর চুপ করে হাসেন তিন দেবদেবী- জগন্নাথ,সুভদ্রা আর বলভদ্র। এ হল সেই চেনা পুরী, জগন্নাথধাম।
কিন্তু, এই চেনা পুরীর গণ্ডি ছাড়ালেই, অপেক্ষা করে আছে চমক। যে চমক চেনা বেড়ানোকেই ভরে দিতে পারে হাজারো রঙের ঝিলিকে।
প্রথম দিন যেমন হয়, সমুদ্র আর দেবদর্শন। পরের দিন সকালের নাস্তা সেরে, গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন রঘুরাজপুরের দিকে। পুরী থেকে মাত্র কুড়ি-বাইশ কিলোমিটার। এখান দিয়ে বয়ে চলেছে শান্ত নদীটি, পটে আঁকা ছবিটি। তার নাম ভার্গবী। এই ভার্গবী নদীর তীরেই ওড়িশার ছোট্ট গ্রাম রঘুরাজপুর। ছায়াঢাকা সেই ছোট গ্রামটির ঘরে ঘরে শিল্পীরা মগ্ন হয়ে আছেন হাতের কাজে। কোথাও আঁকা হচ্ছে দশাবতার তাস। কোথাও ছোট পুতুল বা কাঠখোদাই। ওড়িশার বিখ্যাত লোকনৃত্যেরও খোঁজ পাবেন এখানে। ইচ্ছে হলে কেনাকাটা করুন। না হয় এমনিই ঘুরে দেখুন চারপাশ। তারপর আবার ফিরে আসা পুরীতে। দুপুরের খাওয়াদাওয়া চুকিয়ে, অল্প একটু গড়িয়ে নিয়ে, বিকেলের দিকে গাড়ি চেপে পৌঁছে যাওয়া বালিহরচণ্ডী মন্দিরে। রঘুরাজপুরের থেকেও কাছে। এই মন্দিরের চণ্ডী নাকি সমুদ্রের ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা করেন জগন্নাথ মন্দিরকে। এখানেও খুঁজে পাবেন সকালবেলার সেই ভার্গবী নদীকে। চারদিকে উলুঘাস আর সোনাবালি। খেয়া চেপে পৌঁছে যান ওপারে। পা রাখুন এক নিঝুম বালুচরে।
এ ছাড়াও দেখে নিতে পারেন আলারনাথের মন্দির, জয়চণ্ডীর দেউল, বা কিনতে পারেন পিপলির হাতে বানানো কাপড়ের ল্যাম্পশেড। তা নাহলে চেনা কোনারক, উদয়গিরি-খণ্ডগিরি আর চিলিকা তো আছেই।
কীভাবে যাবেনঃ সড়কপথ, বা রেল- পুরী পৌঁছনো কোনো ব্যাপারই না। কলকাতার বাবুঘাট থেকে পর পর বাস পাবেন। ট্রেন তো আছেই। সেখান থেকে ভাড়া গাড়ি। ……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
কোথায় থাকবেনঃ পুরীতে থাকার হাজারো ব্যাবস্থা। হোটেল, লজ, রিসর্ট, হলিডে হোম- ইচ্ছে মত বেছে নিলেই হল।
6th March, 2021 11:13 pm
6th March, 2021 10:38 pm
6th March, 2021 07:54 pm
6th March, 2021 07:25 pm