Written By দেবাশিস সেনগুপ্ত
৮৪ হাজার ৫৬৪ জন তাঁত শিল্পীকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৭৬ টি উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণ করার কাজ চলছে বলে এদিন বিধান সভায় জানান অর্থমন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। রাজ্য তাঁত শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিধানসভায় বিধায়ক বঙ্কিম হাজরার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানিয়ে বলেন, ২০১১ সালে ছিল মাত্র ২৮ টি প্রকল্প। যা ৮ বছরে ৬গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬৩ টি সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র কমন ফেসিলিটি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এক লক্ষ ২ হাজার তাঁত শিল্পীকে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এক লক্ষ ৮হাজার তাঁত শিল্পীকে নতুন পিট -লুম বা ফ্রেম -লুম বিতরণ করা হয়েছে। তাঁত শিল্পীদের তাঁত বস্ত্র বিপণনের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে চারটি সুসংহত তাঁতের হাট স্থাপিত হয়েছে। এর সাহায্যে আনুমানিক দেড় লক্ষ তাঁতশিল্পী উপকৃত হচ্ছেন। তাঁত শিল্পীদের জন্য ৬৩০০টি বাতিঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ৫হাজার তাঁত শিল্পের জন্য ঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে ১৮০০জন যন্ত্রশিল্পীকে নিয়ে বালুচুরি শাড়ি রিভার স্ক্রিন রূপায়িত হয়েছে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে বালুচরি শাড়ি বিক্রয়ের জন্য একটি স্বতন্ত্র শোরুম চালু করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বালুচরী শান্তিপুরী ও ধনেখালি শাড়ির জিআই ,রেজিস্ট্রেশন পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, তন্তুজে’র বিক্রয়ের পরিমাণ ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ২৫৮কোটি টাকা হয়েছে যা ২০১০-১১ সালে ছিল মাত্র ৫৫কোটি টাকা। ২০১০-১১ সালে তন্তুজ’র লোকসানের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০১৮-১৯ সালে তন্তুজ’র অপারেটিং প্রফিট ১৪ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা হয়েছে। এই সব পরিকল্পনা গ্রহণ করার ফলে ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ অতিরিক্ত কর্ম দিবস তৈরি হয়েছে। বিধায়কের অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র জিআই রেজিস্ট্রেশনের ব্যাখ্যা করেন। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, এরই মধ্যে কুড়িটি জি আই রেজিস্ট্রেশনের জন্য পাঠান হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি হ্যান্ডলুম সেক্টরে ৩ টি এমএসএমই এছাড়াও আরও ৩টি ক্ষেত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
লাইভ কলকাতা টিভি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
3rd September, 2019 05:20 pm