Written By স্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
রাধা অষ্টমী ও গোয়ালপুজোতে মাতল বাঁকুড়ার মানুষ। সাত সকালেই ঢোলের বোল গ্রামের মানুষকে জানান দেন শুক্রুবার রাধাঅষ্টমী ও গোয়াল পুজো। এই রেওয়াজের দেখা মেলে আজও। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় এমন প্রাচীন লোকাচার আজও অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন গ্রাম বাংলার মানুষজন। গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যায়নি বাংলার প্রাচীন এই উৎসব। সেই প্রাচীন নিয়ম মেনে নিষ্ঠা ও ভক্তি ভরে রাধা বন্দনা এবং গোয়ালে ভগবতী দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন গ্রাম বাংলার মানুষ। প্রসাদ হিসেবে নিবেদন করা হয় গুড় পিঠে, মুড়কি, ফল ইতাদি। আবার কোথাও কোথাও অন্নভোগ নিবেদন করা হয় ভগবতী দেবীকে। শুক্রুবার থেকেই শুরু হয় গুড় পিঠে খাওয়ার রেওয়াজ। ভাদ্র মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে রাধার আবির্ভাবকে ঘিরেই পালিত হয় রাধাঅষ্টমী ব্রত। বাংলার শারদ উৎসবের মহাষ্টমীর আগে এটা বড় অষ্টমী বলেই পরিচিত। একদিনের এই ব্রত করলে অনেক পুন্য অর্জন করা যায় বলেও মনে করেন অনেকেই। তাই গ্রামের মহিলারা সাধারণত এই ব্রত পালন করে থাকেন। এর সঙ্গেসঙ্গে রাধা অষ্টমীর সঙ্গে একযোগে আরধনা করা হয় ভগবতী লক্ষ্মীর পুজো। বাড়ির গোয়ালঘরে লক্ষ্মীর সাজ নিয়ে গিয়ে সেখানে কাঠের তৈরি ভগবতী দেবীকে মন্ত্র উচ্চারনের মধ্য দিয়ে আহ্বান করে নিবেদন করা হয় প্রসাদ ও অন্নভোগ। আবার কোথাও গোয়াল ঘরের গরু বাঁধার খুটো তে আরাধনা করা হয় ভগবতীর আরাধনা। এই পুজোতে শালুক ফুল বিশেষ ব্যবহার করা হয়। বাড়ির ঘরের দরজার এবং গোয়াল ঘরের দরজায় সামনে শালুক ফুল দিয়ে সাজানো হয়। আর এইভাবেই প্রাচীন নিয়ম ও ঐতিহ্য মেনে রাধা আরাধনা ও ভগবতী আরাধনায় মেতে ওঠেন বাঁকুড়া জেলার মানুষ।
22nd April, 2021 09:51 pm
22nd April, 2021 07:31 pm
22nd April, 2021 06:50 pm
22nd April, 2021 05:49 pm