Written By শাজাহান আলি
ফের অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুর থানার ঘোষডিহা গ্রামে। বিস্ফোরণে ঝলসে গেলেন দম্পতি৷ নিজেদের বসতবাড়ির সঙ্গেই অবৈধ বাজি তৈরির কারখানাটি রেখেছিলেন ওই দম্পতি৷ রবিবার বিকেলে বাড়ির রান্নার গ্যাস ওভেন থেকে আগুন ছড়িয়ে বাড়িতে মজুদ বাজিতে আগুন লাগে৷ তা থেকেই বিস্ফোরণ৷ গ্রামবাসীরা জখম দম্পতিকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে, পরে অবস্থার অবনতির কারণে তাঁদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের বাসিন্দা হারাধন গায়েন নিজের বাড়িতেই অবৈধভাবে বাজি তৈরি করতেন৷ গ্রামবাসীদের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই বাজি তৈরির কাজ করতেন৷ রবিবার বিকেলে তাঁর বাড়িতে রান্নার গ্যাস থেকে কোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে গিয়েছিল ৷ সেই আগুন গিয়ে পাশেই বাড়ির মধ্যে মজুত রাখা বারুদে লেগে যায়৷ তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়৷ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাননি হারাধন বাবু ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা গায়েন৷ গ্রামবাসীরা দ্রুত এসে কোনোভাবে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে প্রথমে কেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করে ৷ পরে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ধে নাগাদ অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় পাঠানো হয়৷ তবে এই ঘটনার পরে গ্রামবাসীরা অনেক চেষ্টা করে আগুন নিভিয়েছেন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় কেশপুর থানার পুলিশ ৷
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে এই জেলার পিংলার ব্রাহ্মণবাড় গ্রামে বাজি কারখানাতে বিস্ফোরনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল ৷ রাজ্য তোলপাড় করা সেই অবৈধ বাজি কারখানার বিস্ফোরনের ঘটনার পরে পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হয়েছিল ৷ তারপরও জেলার নারায়নগড় সহ মকরামপুর এলাকাতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে৷ হয়েছে খোদ মেদিনীপুর শহরেও ৷ এবার কেশপুরের ঘটনায় ফের পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে ৷