Written By দেবজ্যোতি ঘোষ
অটিজিম কোনও রোগ নয়। এটি শিশুদের একটি বিকাশজনিত সমস্যা। এই ডেভলপমেন্টাল ডিস অর্ডারের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে অটিজম স্পেকটার্ম ডিসর্ডার সব চেয়ে বেশি বাচ্চাদের ক্ষতিগ্রস্থ করছে। জেনেটিক অ্যাণ্ড এনভাওমেন্টাল এই দুটিই মূলত কারণ কিন্তু এখনও এটি গবেষণাধীন বিষয়।। ভাষার সমস্যা, ভাষার বিকাশগত সমস্যা, মনোযোগগত সমস্যা, আচরণগত সমস্যা এবং নিজের মধ্যে আত্মমগ্ন থাকা এই বিষয়গুলিই প্রধান লক্ষণ এই অটিজম ডিসর্ডারের। তাই যত তাড়াতাড়ি এবং কমবয়সে এই ডিসঅর্ডারকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা যায় তত ভালো। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতবর্ষে ১০০০ জন বাচ্চার মধ্যে ২জন শিশু এই মানসিক বিকাশজনিত সমস্যায় ভুগছেন, ভারতবর্ষে এই বিকাশ জনিত সমস্যায় ভুগছেন ২,১৬০০০০ জন শিশু। শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তথা নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক প্রবীন কুমার বলেন, “ অটিজমের এখনও পর্যন্ত কোনো ওষুধ বের হয়নি কিন্তু এই ধরনের বাচ্চাদের মনোযোগ ফেরানোর জন্য এবং মানসিক স্থিতির জন্য বেশ কিছু ওষুধ ব্যবহার আমরা করে থাকি, সেগুলি এক কথায় অটিজমের ওষুধ না হলেও এই ধরনের বাচ্চাদের মধ্যে প্রয়োগ করলে এর সুফল পাওয়া সম্ভব। এই ধরনের বাচ্চাদের স্পিচ, অকুপেশন স্পেশাল এডুকেশন এবং বিহেভিয়ার ম্যানেজমেন্ট থেরাপি অত্যন্ত ফলপ্রদ। অটিজম কোন রোগ নয়। অটিস্টিক বাচ্চাদের থেরাপির জন্য শুধু পশ্চিমবাংলা নয় সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে এই ধরনের থেরাপি সেন্টার কিন্তু বেশিরভাগ জায়গাতেই অবৈজ্ঞানিক ভাবে থেরাপির ফলে এই ধরনের বাচ্চাদের জীবন বিপন্ন। অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হন তাঁদের দ্বারা। শিশুসহ সেই পরিবারটি তখন অসহায় হয়ে পড়ে।” অডিও লজিস্ট এন্ড স্পিচ ল্যাংগুয়েজ প্যাথলজিস্ট এবং Rise speech and hearing rehabilitation clinic এর কর্ণধার চন্দন বিশ্বাস বলেন, “আমার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিহ্নিত করি এবং তাঁদের পরীক্ষা করি। তাঁদের বিভিন্ন উপযুক্ত থেরাপির মাধ্যমে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হল আমাদের ক্লিনিকের প্রধান লক্ষ্য। আমাদের এই Rise ক্লিনিকে সমস্ত প্রকারের থেরাপি প্রদান করা হয়। যেমন স্পিচ থেরাপি, স্পেশাল এডুকেশন থেরাপি, অকুপেশন থেরাপি, গ্রুপ থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে বাচ্চাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনা হয়। এখন আমাদের ক্লিনিকে ২০০ রও বেশি শিশু বিশেষ চাহিদার শিক্ষা গ্রহণ করছে। শিশুদের উন্নতি ও অভিভাবকদের মুখের হাসি ফুটিয়ে তোলা আমি আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। একজন কথা না বলা শিশুর থেরাপির মাধ্যমে কথা বলাটা আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা দেয়।