Written By অনিরুদ্ধ সরকার
আরাবল্লীর সবুজ পাহাড়ের ঢালে পিছোলা হ্রদের তীরে স্বপ্নের শহর উদয়পুর। ১৫৫৮ সালে আকবর চিতোর অধিকার করে নিলে, মেবারের রাজা রানা দ্বিতীয় উদয় সিংহ এই শহরে তার রাজত্ব নিয়ে আসেন এবং এই শহরটি হয় মেবারের রাজধানী। পিছোলা হ্রদকে কেন্দ্র করে নানান মর্মর প্রাসাদ, কারুকার্যময় হাভেলি, প্রাচীন মন্দির, মিউজিয়াম, ম্যানসন গড়ে উঠেছে, "ভেনিস অব দ্যা ইস্ট" নামে খ্যাত রাজস্থানের উদয়পুর। এই শহর "সিটি অব ডন" নামেও পরিচিত। মনোহর প্রকৃতি আর সুসজ্জিত উদ্যানের সঙ্গে ঐতিহ্যের মেলবন্ধন-সব মিলিয়ে এক অনবদ্য ব্যাপার। মোট পাঁচটি প্রাসাদ রয়েছে উদয়পুরে, এর মধ্যে ২ টি লেকপ্যালেস। প্রত্যেকটি প্রাসাদ ভাস্কর্য আর অলঙ্করণে অনবদ্য। অতীতে মেবারের রাজধানী ছিল এই উদয়পুর। আজও রাজপুতদের শৌর্য বীর্যের গাথা ভেসে বেড়ায় উদয়পুরের বাতাসে। উদয়পুরে দু-তিন দিনের অবস্থানে পায়ে পায়ে বা টাঙ্গায় চড়ে একে একে দেখে নিতে পারেন প্যালেস মিউজিয়াম, ক্রিস্টাল গ্যালারি, জগনিবাস প্যালেস, জগমন্দির বা গুলমহল, গুলাব বাগ, আরাবল্লি বাটিকা, নেহেরু পার্ক, প্রতাপ স্মারক, ভারতীয় লোককলা মণ্ডল, রক গার্ডেনস, সাহেলিয়া কি বাড়ি। উদয়পুর থেক ৬ কিমি উত্তর-পশ্চিমে শিল্পীগ্রাম, ৩ কিমি দূরে শিশোদিয়াদে অতীত রাজধানী আহারও বেড়িয়ে নিতে পারেন অটো করে। তবে উদয়পুরের সেরা আকর্ষণ পিছোলে লেক। 'উদয়পুর মানেই ‘সিটি প্যালেস'। পিছোলা লেকের পাড়ে এই প্রাসাদটি খুবই ভালো ভাবে দেখভাল করা হয় এবং এই প্রাসাদে এখনও রাজ পরিবারের লোকজন বসবাস করেন। এই প্রাসাদ খুঁটিয়ে দেখতে কিন্তু অনেক সময় লাগবে। বিকেলের পড়ন্ত আলোয় পিছোলা লেকের উলটো দিকে আম্বাই ঘাটে দেখতে পাবেন সেখানে অনেক লোকই জড়ো হয়েছেন এবং উপভোগ করছেন হালকা হাওয়া এবং আলো জ্বলে ওঠা সিটি প্যালেস। কেউ সেখানে গান করেন, কেউ ছবি তোলেন। আবার কেউ লেকের ধার দিয়ে হেঁটে বেড়ান। ফতেহ সাগর লেকেও আপনি যেতে পারেন। নির্জনতা পছন্দ করলে এই লেকটিই আপনার জন্যে আদর্শ। রাজস্থানের বৃহত্তম রাজপ্রাসাদ মহারানার শীতকালীন আবাস এই সিটি প্যালেস - গ্রানাইট আর মার্বেলে গড়া এক অপরূপ স্থাপত্য। প্রথম বড়ি পোল হয়ে ত্রিপোলিয়া গেট, যাতে তিনটি খিলান ও আটটি তোরণ আছে। বংশীঘাটের কাছে ত্রিপোলিয়া গেট পেরিয়ে প্রাসাদ চত্বর। সেকালে মহারানাদের জন্মদিনে মহারানার সম ওজনের সোনা-রুপো বিতরণ করা হত দরিদ্র প্রজাদের। আজ সেখানেই টিকিট কাউন্টার। ত্রিপোলিয়ার পিছনে গণেশ দেউরি-পথ গিয়েছে দক্ষিণে রাজ অঙ্গনে। এরপর শিশমহল, কৃষ্ণা ভিলা, ভীম ভিলা, ছোট চিত্রশালি, দিলখুসমহল, মানকমহল, মোতি মহল, বড়ি মহল আর ১৬৭৬ সালে তৈরি কাঁচ কি বুরুজ। ৩০মি উঁচু আর ২৪৪মি দীর্ঘ এই প্রাসাদে এগারটি মহল আছে। প্রতিটি মহলই সূক্ষ্ম কারুকার্যমন্ডিত। মোরচকে ১৯ শতকে নির্মিত পাঁচহাজার টুকরো রঙবেরঙের কাঁচ বসিয়ে ময়ূরের প্রতিকৃতি এককথায় অপূর্ব – সূর্যের আলোয় প্রতিফলন হয় নীল, সবুজ, সোনা রঙে। অন্য এক ঘরে সূর্যমূর্তি, মানক বা রুবিমহলে কাচ ও পোর্সিলিনের সুন্দর সুন্দর মূর্তি। কৃষ্ণকুমারীর মহল কৃষ্ণবিলাসে রাজস্থানী মিনিয়েচার চিত্র, করণ সিং-এর তৈরি জানালা বিহীন জেনানা মহলে ফ্রেস্কোচিত্রে আঁকা কৃষ্ণগাথা, চোরকুঠুরি, ঝুলবারান্দা, রঙীন দেওয়াল মেঝে, রংবেরং-এর কাচের জানালা – সবই অসাধারণ সুন্দর আর দৃষ্টিনন্দন। আর রানিমহলে আছে রানিদের ব্যবহৃত নানাধরণের পালকি, হাওদা, ও ঘোড়ার গাড়ি। মোতিমহলে কাচের সুন্দর কারুকার্য, চিনি কি চিত্রমহলে চিনা ও ডাচ শিল্পীদের করা অলঙ্করণও মনোমুগ্ধকর। কারুকার্যময় শিখরে বিষ্ণু-কৃষ্ণ ও অপ্সরাদের নানা আখ্যান খোদাই করা আছে। প্রাসাদের এক অংশে সরকারি মিউজিয়াম। আরেক অংশে হোটেল। অন্য এক অংশে রাজপরিবারের বংশধরেরা বসবাস করেন। প্রাসাদের গায়েই ১৪ শতকে তৈরি ১০ বর্গ কিমি জুড়ে পিছলা লেক। চারদিকে পাহাড় ঘেরা, জল আসছে ১৬০ কিমি দূর থেকে। জলাশয়ের মাঝে মাঝে দ্বীপ, দ্বীপের মাঝে প্রাসাদ আর মন্দির। একদিকে সুন্দর বাগান আর অন্যদিকে ঘাটের পর ঘাট। লেকে বোটিং-এর ব্যবস্থাও আছে। পূর্ণিমা রাতে এই লেকের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। এই লেককে ঘিরে ছড়িয়ে আছে নানান গল্পকথা। প্রচলিত কথা, পিছোলার জল পান করলে তাকে আবার এখানে ফিরে আসতেই হবে। লেকের মাঝে এক দ্বীপে রয়েছে এক নর্তকীর স্মৃতিস্তম্ভ। জনশ্রুতি, মহারাণার সঙ্গে এক নর্তকীর এই শর্ত হয় যে, সে যদি, দড়ির ওপর নাচতে নাচতে এপার ওপার করতে পারে পুরস্কারস্বরূপ অর্দ্ধেক রাজত্ব পাবে। সে প্রায় অন্য পাড়ে পৌঁছে যাচ্ছে দেখে প্রধানমন্ত্রী দড়িটি কেটে দিলে নর্তকীর সলিল সমাধি হয়। সিটি প্যালেসের কাছেই ফতে প্রকাশ প্যালেস যা এখন হোটেল। প্যালেসের এক অংশে রয়েছে ‘ক্রিস্টাল গ্যালারি’-যা উদয়পুরের আরও এক আকর্ষণ। ১৮৭৭ সালে মহারানা সজ্জন সিং-এর অর্ডারে বার্মিংহাম থেকে আসে ক্রিস্টালে তৈরি ছ'শোরও বেশি অভিনব সামগ্রী।
জগদীশ মন্দির
সিটি প্যালেসের প্রবেশপথের ডানদিকে মহারানা জগৎসিংহের তৈরি জগদীশ মন্দির। আরাধ্য দেবতা বিষ্ণু। তৈরি হয়েছিল ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে। পিছোলা লেকের মাঝে 'জগ মন্দির প্যালেস'। উদয়পুর সিটি প্যালেস থেকে নৌকা করে জগ মন্দির প্যালেসে যেতে হয়। সিটি প্যালেস থেকে ২কিমি দূরে ভিনটেজ কার মিউজিয়ামে রয়েছে রাজা-মহারাজাদের ব্যবহৃত চারচাকার গাড়ির এক অতুলনীয় সংগ্রহ।ভারতীয় লোক কলামন্ডলের রাজস্থানি শিল্পকলা, সংগীত, নৃত্যের আনুসাঙ্গিক সরঞ্জাম আর পুতুলের সম্ভারে চেনা যাবে অতীত ইতিহাসকে। ফতেহ সাগরের পাড়ে, চারটি পদ্মপুকুরেরে মাঝে ফোয়ারা দিয়ে সাজানো অভিনব বাগিচা ।
শিল্পীগ্রাম
শহরের উপকন্ঠে উদয়পুরের আর এক আকর্ষণ শিল্পীগ্রাম। রাজস্থান, গুজরাট, গোয়া ও মহারাষ্ট্র থেকে নানা উপজাতির লোকশিল্পীরা এসে ৮০ হেক্টর এলাকা জুড়ে বসবাস করছেন। এই জীবন্ত এথনিক মিউজিয়ামে রয়েছে হস্তশিল্পের নানা নিদর্শন ও খরিদের সুযোগ।
সহেলিয়াঁদের বাড়ি
এখানে রাজকুমারীর দাসীরা থাকতেন। বাগিচার মধ্যস্থলে রয়েছে কালো পাথরের সূক্ষ্ম কারুকার্যমন্ডিত ছত্রি। এই ছত্রিগুলি রাজস্থানী স্থাপত্যের অন্যতম সুন্দর নমুনা। সাধারণতঃ ৫/৬ ফুট চৌকোকার। চারকোণে চারটি থাম, শিখরযুক্ত গম্বুজাকৃতি ছাদ। মধ্যস্থলের ছত্রির ছাদের চারদিক দিয়ে বর্ষার জলের মত ঝরনার জল পড়ছে, আর তাতে বৃষ্টির মত আওয়াজ হচ্ছে। তাই একে 'বিন বাদল বরসাত/বারিশ' বলা হয়। এই বাড়ি নিয়ে দুটি জনশ্রুতি আছে। একমতে এটি রাজপরিবারের মহিলাদের বেড়াবার জায়গা ছিল। অন্যমতে মুঘল দরবার থেকে ভেট পাওয়া মুসলিম নর্তকীদের বাসস্থান।
রাজসমন্দ লেক
এক দিনের সফরে চলুন রাজসমন্দ-কাঁকরোলি-নাথদ্বার-দেবীগড়-একলিঙ্গজি-নাগদা। প্রথমে চলুন ৬৩ কিমি দূরে রাজসমন্দ লেক এবং কাঁকরোলি। দেখুন মহারানা রাজ সিংহের তৈরি ৭.৭ বর্গ কিমি আয়তন বিশিষ্ট লেক, লেকের পাড়ে শিলালিপি, শ্বেতপাথরের ন'টি মণ্ডপ তথা নওচৌকি, বাগিচা, শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকাধীশ মন্দির ইত্যাদি। এ বার উদয়পুরের দিকে ১৮ কিমি এসে বৈষ্ণবতীর্থ নাথদ্বার, দেখুন শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। নাথদ্বার থেকে উদয়পুরের দিকে প্রায় ২১ কিমি এগিয়ে এলে দেবীগড়, ১৮ শতকের ফোর্ট প্যালেস। আরও ৭-৮ কিমি এসে একলিঙ্গজি, ৭৩৪ খ্রিস্টাব্দে তৈরি পিরামিড ধাঁচের মন্দির কমপ্লেক্স। উদয়পুরের দিকে একলিঙ্গজির একেবারে গায়েই নাগদা, রাওয়াল নাগাদিত্যের ১১ শতকের রাজধানী, প্রাচীন নগরী। ফিরে আসুন উদয়পুরে।
বাগোর কি হাভেলি
এর পর চলুন পিছোলা লেকের কাছে গংগৌর ঘাটে 'বাগোর কি হাভেলি'-তে। হাভেলির প্রতিটা ঘরে ঢোকা যায়। হাভেলি থেকে লেকটিও সুন্দর দৃশ্যমান। রোজ সন্ধ্যায় এখানে রাজস্থানের ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মার্চ মাসে গাঙ্গৌর উৎসবের মিছিল এখানেই শেষ হয়। সন্ধেবেলায় বসে লোক নৃত্যগীতের আসর।
কুম্ভলগড়
উদয়পুর থেকে উত্তরে ৮৪ কিমি দূরে কুম্ভলগড়। ১৪৫৮ সালে পাহাড়ের ওপর ১০৮৭ মি উচ্চতায় এই দুর্গটি গড়ে তোলেন রানা কুম্ভ। এই কুম্ভলগড়েই সেই ইতিহাস বিখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল – ধাত্রী পান্না বাঈ, রানা উদয় সিং-এর শৈশবাবস্থায় ঘাতকের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য নিজের সন্তানকে ঘাতকের হাতে তুলে দেন। এই বিশাল দুর্গকে ঘিরে আছে ৩৬ কিমি লম্বা ও ৪ কিমি চওড়া প্রাচীর। প্রাচীরটি সাতটি বুরুজ ও তোরণে সজ্জিত। রাজস্থানের দুর্গের ইতিহাসে প্রাচীনত্বে্র দিক দিয়ে চিতরের পরেই এর স্থান। দুর্গের ভিতর মহলের পর মহল তালাবন্ধ। যেটুকু দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে অনবদ্য দরবার হল বা মেঘ দরবার। অভিনবত্ব আছে জেনানা মহল ও মর্দানা মহলে। রাম পোলের কাছে মন্দিরগুলিও দর্শনীয়। নীচে দ্বিতীয় শতকের কিছু জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে। দুর্গের অভ্যন্তরে রানা কুম্ভের ছত্রী বা সমাধি ছাড়া, কালী, নীলকন্ঠ, কুম্ভস্বামী ও মহাদেব মন্দির আছে। দুর্গের ছাদ থেকে দৃশ্যমান কুম্ভলগড় স্যাংচুয়ারি।
সজ্জনগড় প্রাসাদ
পিছোলা লেকের ঠিক পাশেই একশ একর জায়গা জুড়ে গুলাব বাগ বা সজ্জননিবাস প্রাসাদ কমপ্লেক্সটি । ১৮৫৯-৭৪ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তোলেন মহারাণা সজ্জন সিং। এখানে রয়েছে নওলাক্ষা ভবন, ভিক্টোরিয়া হল বা সরস্বতী ভবন, কমল তালাও আর ছোটদের মনোরঞ্জনের জন্য মিনি ট্রেন, অল্পদূরেই চিড়িয়াখানা। গোলাপ বাগে দেশি-বিদেশি দুষ্প্রাপ্য সব গোলাপ আছে। এই প্রাসাদে রাজারা বর্ষাকালে এসে থাকতেন। পাহাড়ের টঙে অবস্থিতর এই প্রাসাদ থেকে খুবই সুন্দর সূর্যাস্ত দেখা যায়। মোতিমাগরতে রয়েছে রানা প্রতাপের স্মৃতিতে নির্মিত প্রতাপ মেমোরিয়াল। হল অফ ফেম মিউজিয়ামে সন্ধ্যায় আলো ও ধ্বনির মাধ্যমে রানা প্রতাপের জীবনকাহিনী তুলে ধরা হয়।
করনি মাতা রোপওয়ে।
উদয়পুর রেলস্টেশন থেকে ৩ কিমি দূরে করনিমাতা রোপওয়ে। মচল্লা পাহাড়ের মাথায় শ্রী করনি মাতা মন্দির। উদয়পুরের দীনদয়াল পার্ক থেকে রোপওয়ে চড়ে চলুন মন্দিরে।
হলদিঘাট
উদয়পুর থেকে সারাদিনের বেড়ানোয় ঘুরে নেওয়া যায় হলদিঘাট। ১৫৭৬ সালের ২১ জুন এই হলদিঘাটের প্রান্তরেই রানা প্রতাপের সঙ্গে আকবরের যুদ্ধ হয়েছিল, যা হলদিঘাটের যুদ্ধ বলে ইতিহাসপ্রসিদ্ধ। এখানকার মিউজিয়ামে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-তে দেখে নেওয়া যায় রানা প্রতাপের জীবনের নানা ঘটনা। মিউজিয়ামে রানা প্রতাপ ও তার প্রিয় ঘোড়া চেতকের অনেক মূর্তি আছে। আছে চেতকের স্মৃতি সৌধ। রানা প্রতাপের সেনাপ্রধান হাকিম খান সুরীর সমাধি। আর বেশ বড় গোলাপবাগ। এখানে গোলাপফুলজাত নানা টুকিটাকি দ্রব্যাদি কিনতে পাওয়া যায়। একযাত্রাতেই দেখে নেওয়া যায় প্রাচীন মন্দির নাথদ্বারা ও একলিঙ্গজি।
কিভাবে যাবেন
বিমানঃ মহারাণা প্রতাপ এয়ারপোর্ট
রেলঃ শিয়ালদহ থেকে মিলবে অনন্যা একপ্রেস ও উদয়পুর সিটি একপ্রেস।
সড়কঃ রাজস্থানের যেকোন অংশের সঙ্গে বাস যোগাযোগ রয়েছে উদয়পুরের। যোধপুর বা মাউন্ট আবু ভ্রমণ শেষ করে চলে যাওয়া যেতে পারেন উদয়পুরে।
কোথায় থাকবেন
উদয়পুরে রাত্রিবাসের সেরা জায়গা রাজস্থান পর্যটনের হোটেল কাজরী। এছাড়া অজস্র হাভালি, হোটেল ও লজ রয়েছে। উদয়পুরের থাকার খরচ অবশ্য বেশি। ভাড়া ২৫০০ থেকে ১৮০০০ টাকা।
কেনাকাটা
যদি উদয়পুরের কিছু স্মারক কিনতে চান তা হলে চলে যান সিটি প্যালেসের কাছে। ওই অঞ্চলে প্রচুর দোকান আছে, যেখানে আপনি মনের আনন্দে দরাদরি করতে পারবেন। আপনি কী খুঁজছেন সেটি আগে ঠিক করে নিন এবং দরদাম করে সেই জিনিসটি কিনতে পারবেন।উদয়পুরের ছাতা বিখ্যাত। এছাড়া গহনাও বিখ্যাত।