নয়াদিল্লি: কথামতোই আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন ‘দিল্লি চলো’ (Delhi Chalo) অভিযানে ফিরছেন কৃষকরা। প্রায় ১৪,০০০ কৃষক, ১২০০ ট্রাক্টর, ৩০০টি গাড়ি এবং ১০টি মিনিবাস রাজধানীতে ঢোকার চেষ্টা করবে। গত রবিবার রাতে আন্দোলনকারী কৃষকদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই প্রস্তাবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুরাহা (MSP) হলেও লোন মকুব সহ বেশ কিছুর দাবির সমাধান মেলেনি। কৃষক সংগঠনগুলি পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে দু’ দিন ভাবার সময় নিয়েছিল এবং অন্য দাবি নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের অপেক্ষা করেছিল।
আরও পড়ুন: বিহারে অটো ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত ৯
কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের (Sarwan Singh Pandher) জানিয়েছিলেন, সরকারের প্রস্তাব নিয়ে দু’দিন আলোচনা চলবে এবং এই সময়ে দিল্লি চলো অভিযান বন্ধ থাকবে। কিন্তু লোন মকুব সহ আরও কিছু দাবির এখনও সুরাহা হয়নি। তাঁদের আশা ছিল, এই দু’দিনে সরকার কিছু বন্দোবস্ত করবে না হলে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ফের আন্দোলনে ফিরবেন। কিন্তু সরকারের তরফে কোনও উচ্চবাচ্য না দেখে বুধবার সকাল থেকেই দিল্লি চলো অভিযানে ফিরলেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৬)
পঞ্জাবের কৃষকদের নয়াদিল্লি ঢুকতে হলে হরিয়ানা পেরতে হবে। কিন্তু পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তেই তাঁদের আটকাচ্ছে হরিয়ানার পুলিশ (Haryana Police)। কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান সবই ব্যবহার করেছিল তারা। এদিন পঞ্জাব পুলিশকে (Punjab Police) তারা আর্জি জানিয়েছেন, যাতে পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙতে যেসব যন্ত্রপাতি কৃষকরা নিয়ে এসেছেন তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এদিকে দিল্লি পুলিশও সতর্কতা জারি করে রেখেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সীমান্তে কড়া প্রহরা বসানো হয়েছে।
এদিকে কৃষক নেতা পান্ধের আবারও জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিবাদ হবে শান্তিপূর্ণ। তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যাতে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তাঁরা রাজধানীতে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারেন। আজ অভিযানে ফেরা নিয়ে পান্ধের বলেছেন, “আমরা আমাদের দিক যা করার সব করেছিলাম। আমরা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম, প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এবার সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ থাকব… আমাদের ব্যারিকেড সরিয়ে দিল্লি পর্যন্ত যেতে দেওয়া হোক।”
দেখুন অন্য খবর: