Written By অনিরুদ্ধ সরকার
দেখতে অবিকল শায়িত রবীন্দ্রনাথের মুখ
কাঞ্চনজঙ্ঘাকে সন্দকফু অঞ্চল থেকে যে রকম শায়িত বুদ্ধ লাগে, তেমনি প্রকৃতির আরেক বিচিত্র সৃষ্টি হয়েছে শিটংয়ের পাহাড়ে, দেখতে ঠিক যেন অবিকল রবীন্দ্রনাথের মুখ। রবীন্দ্রনাথ শুয়ে থাকলে তাঁর মুখাবয়ব যেমন লাগবে, অবিকল তাই। ব্যাপারটা আপনি কাকতালীয় ভাবতেই পারেন কিন্তু মজার কথা হল, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় রবীন্দ্রনাথ অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন। বিশেষত মংপুতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি। সেই মংপু থেকে অহলদাঁড়ার এই ভিউ পয়েন্ট গাড়িতে মাত্র আধ ঘণ্টার পথ। সিটং, দার্জিলিং থেকে মাত্র ৪৫ কিমি দূরে। পাথরের এই বিচিত্র গঠন আবিষ্কার হয়েছে সিটং-এর অহলদাঁড়ায়। এ এমন একটা আবিষ্কার, যা স্থানীয় অঞ্চলের অর্থনীতি পালটে দিতে পারে বলেই মনে করছেন এলাকাবাসীরা। এখানকার হোমস্টে মালিকরা অহলদাঁড়ার এই অঞ্চলকে ‘রবীন্দ্র পিক’ বলে পর্যটকদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।
দার্জিলিং হিমালয়ের কমলালেবুর প্রধান বা মুখ্য উৎপাদনের স্থান হল শিটং , অনেকে “ঘলেটার” বলেও ডাকে।পাহাড় আর নদীর যুগলবন্দীর মাঝে একাকী অবকাশযাপনের সুন্দর গ্রাম উত্তরবঙ্গের শিটং বা ‘অরেঞ্জ ভিলেজ’। পাহাড়ে ঘেরা, সবুজে ঢাকা সাজানো লেপচা জনপদ। কার্সিয়াং মহকুমার এই ছোট্ট এলাকাই এখন পর্যটন মানচিত্রের নতুন আকর্ষণ। প্রকৃতপক্ষে শিটং কোন একটি গ্রামের নাম নয়, রিয়াং নদীর উপত্যাকায় পাশাপাশি অনেকগুলি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে শিটং। সেকারণে অনেকে একে ‘শিটং খাস মহল’ নামেও চেনে। শীতকালে এলে শিটং আপনাকে স্বাগত জানাবে গাছে ঝুলে থাকা থোকা থোকা কমলালেবু । এই ছোট্ট লেপচা গ্রামটির প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে বাগান আর সেই বাগানে রয়েছে কমলালেবুর গাছ। শীতকালে পুরো গ্রামটির রং কমলা হয়ে যায়।
কিভাবে পৌঁছবেন – নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে মংপুর পথ ধরে শিটং পৌঁছতে ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগে। দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। আর কালিঝোরা হয়ে গেলে শিটং এর দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার।
শিটং থেকে দুরত্ব –
6th March, 2021 11:13 pm
6th March, 2021 10:38 pm
6th March, 2021 07:54 pm
6th March, 2021 07:25 pm