Written By স্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
একদিকে পাহাড় জঙ্গল আর অন্যদিকে সুবিশাল জলাধার আর এর মাঝেই পাখির কলকাকলিতে মুখরিত বাঁকুড়ার পর্যটন কেন্দ্রটি। এই টানেই ছুটে আসেন ভ্রমন পিপাসু ও প্রকৃতি প্রেমিক মানুষজন।এখানকার জলাধারের জলের ছোট্ট ছোট্ট মন পাগল করা ঢেউ, প্রকৃতির অপরূপ শোভা আর সাথে পাখির কলতানে মনকে রঙ্গিন করে নেওয়ার এক মনোরম পরিবেশ এই পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু প্রকৃতিকে সুন্দর করার কারিগর পাখির কলোরব ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে এখানকার প্রকৃতির কোল থেকে। অসংখ্য পাখির মৃত্যুতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রকৃতি প্রেমকি থেকে সাধারন মানুষ সহ পর্যটকদের। বাঁকুড়ার যে গ্রামের পর্যটন কেন্দ্রে হারিয়ে যেতে বসেছে পাখির কলোরব সেই গ্রামের নাম মুকুটমনিপুর।
বাঁকুড়ার রানী মুকুটমনিপুর। শাল, পিয়াল ও সোনাঝুরির পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝে কুমারী ও কংসাবতী নদীর মিলিত সুবিশাল জলাধার যেন দেখলে মনে হয় রঙ তুলি দিয়ে আঁকা। একদিকে প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য ও অন্যদিকে সুবিশাল জলাধারের শীতল বাতাস আর তাঁর সাথে সবুজ জঙ্গলের থেকে ভেসে আসা পাখির কুজন প্রকৃতি প্রেমিক ও ভ্রমন পিপাসু মানুষকে পাগল করে তোলে। বসন্ত বৌরি, হাড়ি চাঁচা, বেনে বউ, বনটিয়া, ঘুগু সহ রঙবেরঙের নানান পাখির বাসস্থান এখানকার জঙ্গলে। এই সব পাখির কুজনে মনে পড়বে কুমুদরঞ্জন মল্লিকের কবিতার কথা। কিন্তু এখানকার ভালাইতলা এলাকায় একাধিক পাখির মৃত্যু চিন্তিত করেছে পরিবেশ প্রেমিক থেকে এলাকাবাসিকে। যদিও পাখি মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে স্থানীয় প্রকৃতি প্রেমিক যুবকরা পাখির মৃতদেহের নমুনা পাঠিয়েছেন কোয়েম্বাটুরের গবেষণা গারে। তাঁর পরেই জানা যাবে পাখি মৃত্যুর কারন।
এইভাবে পাখির মৃত্যুতে মুকুটমনিপুরের আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রকৃতি প্রেমিকরা। দিন দিন পাখির মৃত্যু ঘটলে বাস্তুতন্ত্রের উপর যেমন এর প্রভাব পড়বে তেমনি এলাকার পাখির কলোরব হারিয়ে যাবে এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।
22nd April, 2021 09:51 pm
22nd April, 2021 07:31 pm
22nd April, 2021 06:50 pm
22nd April, 2021 05:49 pm