Written By শাজাহান আলি
জঙ্গলে মাঠে খাবার নেই, গ্রামে ঢুকল বেপরোয়া হাতি। পশ্চিম- মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে এই মুহূর্তে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মাঠ গুলিতে আলু, সামান্য সবজি ছাড়া তেমন কিছু ফসল নেই। তাই বেপরোয়া হয়ে হাতির পাল সকালে গ্রামে প্রবেশ করলো।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার পিড়াকাটা এলাকাতে। বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা দেখতে পান পিড়াকাটাতে পূর্ণবয়স্ক একটি দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়েছে। বেলা ৮টা নাগাদ হাতিকে এভাবে দাপিয়ে ঢুকতে দেখে গ্রামবাসীরা ছোটাছুটি শুরু করে দেন। গ্রামের রাস্তা ধরে এগুনোর সময় অনেক পথচারী বাইক সাইকেল ফেলে প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেন। হাতি পিড়াকাটা গ্রামের পাশে বিমল সরেন নামে এক ব্যক্তির বাইকে আক্রমণ করে বাইকটি ভেঙে দেয়। হাতি গ্রামে ঢুকে ইতিউতি ঢু মেরে মাঠের দিকে রওয়ানা দেয়। ততক্ষণে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হুলা পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে হাতি তাড়ানোর জন্য লেগে পড়ে। হাজির হন বনদফতরের কর্মীরা। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি হুলুস্থুল কাণ্ড করে বনদফতর হাতিটিকে শালবনির রঞ্জার জঙ্গলের ভেতরে পাঠাতে সক্ষম হয়। তবে সকালবেলায় পরিষ্কার আলোতে এই হাতির প্রবেশের ঘটনায় সৌভাগ্যবশত গ্রামবাসীরা সচেতন হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই সন্ধ্যার পরে এই হাতি যাতে লোকালয়ে না ঢোকে তাই বনদফতর সতর্ক হয় বিকেলের পর থেকে। একই রকম চিত্র ধরা পড়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার দরখুলি গ্রামের পাশে। এই গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে থাকা জঙ্গলে হাতির পাল দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে হাতির পাল পাশাপাশি থাকা গ্রামবাসীদের সবজি ও মাঠের ফসল ইতিপূর্বে বহু নষ্ট করেছে। বুধবার সকালে গ্রামের দিকে চলে আসে দুটি হাতি। বনদফতরে দ্রুত খবর দেওয়ায় বনদফতর ঐরাবত গাড়িসহ হাতি তাড়ানোর সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়। গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় হাতির আক্রমণ ঠেকাতে দিনের বেশিরভাগ সময়টাই বনকর্মী ও গ্রামবাসীদের পাহারায় থাকতে হয়েছে। বনদফতর জানিয়েছে, মূলত জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় খাবারের টান পড়ায় হাতিরা বারবার লোকালয় মুখি হতে শুরু করেছে। তাই সকলকে বিপদ এড়াতে সতর্ক হয়ে থাকার ও কোনো চোলাই বা অন্যান্য মাদক জাতীয় সামগ্রী বাড়িতে না রাখার আবেদন করা হয়েছে।