Written By শাজাহান আলি
‘এমারজেন্সি পরিষেবা ’ ছাড়া সবকিছুই স্তব্ধ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। জেলার প্রতিটি শহর ও বাজার বন্ধ রবিবার সকাল থেকেই । রেল পরিষেবা ছাড়াও মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে কোন বেসরকারি বাস রাস্তায় বের হয়নি। এমনকি বাসস্ট্যান্ডেও কোনো চালক, খালাসি,কন্ডাক্টরকেও দেখা যায় নি ৷ কয়েকটি সরকারি বাস রাস্তায় চললেও কোনো যাত্রী ছিল না।
তবে দিনভর মেদিনীপুর শহর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহলদারি দেখা গিয়েছে। রাস্তায় লোক না বের হলেও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ছিল । জেলার সর্বত্র একই ভাবে এই দিনটিকে কারফিউ হিসেবে পালন হয়েছে সর্বাত্মক ভাবে ৷ এর মাঝেও সারাদিন স্বাস্থ্য দফতরের টিমকে দৌড়াতে হয়েছে বহিরাগতদের খোঁজ পেয়ে ৷ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন রবিবার পর্যন্ত জেলাতে মোট হোম কোয়ারেন্টাইন এ রাখা হয়েছিল ১২৫ জনকে ৷ তার মধ্যে ২২ জন ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করেছেন ৷ তবে ৯ জনের খোঁজ চলছে ৷ যারা সন্দেহজনক সংক্রামক, কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন ৷
অন্যদিকে রবিবার বিকেলে সাড়ে তিনটা নাগাদ মেদিনীপুর ষ্টেশনে এসে হাজির হয় যশবন্তপুর কামাক্ষা এক্সপ্রেস ৷ ওই গাড়িতে বেশ কিছু লোক প্রতিবেশী রাজ্য থেকে প্রবেশ করেন ৷ একই ভাবে মুম্বাই থেকেও বহু লোকজন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রবেশ করেছেন ৷ তারা প্রবেশের আগেই রেলওয়ে ও স্বাস্থ্যদফতরে খবর দেওয়া হয়েছিল তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে ৷ সেই মতো দুপুর তিনটা থেকেই মেদিনীপুর ষ্টেশনে বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার টিম বসিয়ে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন- আগত এই সমস্ত যাত্রীদের পরীক্ষা করে মেদিনীপুর শহরে প্রশাসনের উদ্যোগে কোথাও রাখা হবে ৷ পরদিন সকালে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে পুনরায় পরীক্ষা হবে তাঁদের ৷