Written By শাজাহান আলি
পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলেও অনেকেই অ্যাসিমটোমেটিক রয়েছে ৷ তাদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার জন্য এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬ টি সেফ হোম তৈরি করছে জেলা প্রশাসন৷ যেখানে তিরিশ থেকে পঞ্চাশটা পর্যন্ত বেড থাকবে প্রতিটি হোমে৷ থাকবে চিকিৎসক এবং নার্সও৷
জেলাতে এমন ৬ টি সেফ হোম তৈরি করতে তিন দফাতে স্বাস্থ্যদফতর ও প্রশাসনের বৈঠক হয়ে গিয়েছে৷ সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে, ঘাটাল ও ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল,মেদিনীপুরের আয়ুষ হাসপাতাল, মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন বেসরকারি আরও একটি হাসপাতালসহ রাঙ্গামাটি প্যারামেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটা অংশ এই সেফ হোম হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে৷ প্রশাসন সুত্রে খবর, জেলাতে করোনা সংক্রমণ যা বেড়েছে বা বাড়ার সম্ভাবনা তা গ্রামীন এলাকাগুলিতে পরিযায়ী শ্রমীকদের মাধ্যমেই বেশিরভাগটা৷ তাদের মধ্যে যাদের সামান্য উপসর্গ রয়েছে বা পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে ছিলেন অথচ লক্ষণ নেই এমন পরিযায়ী শ্রমীক বা সংস্পর্শে থাকা মানুষজনকে ওই সমস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে সেফ হোম গুলিতে তুলে এনে রাখা হবে৷ তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বদলে সেফ হোমে রেখে পর্যবেক্ষন করা হবে৷ কারণ, এদের এর আগে বাড়িতে বা অন্যত্র কোয়ারেন্টাইনে রাখার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত থাকার জায়গা এবং পরিচর্যাতে সমস্যা হচ্ছিল৷ তাই তাদেরই তুলে এনে সেফ হোমে রেখে প্রতিদিন দুবার করে পরীক্ষা করবে চিকিৎসক ও নার্সরা৷
জেলাশাসক রশ্মি কোমল বলেছেন, “আমরা ৬টা স্থান বেছে নিয়েছি ৷ উপসর্গহীনদের আলাদা করে রেখে পর্যবেক্ষন করা হবে ৷ তাদের বিশাল চিকিৎসার প্রয়োজন না হলেও নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত সেখানে রেখে চিকিৎসা করে বাড়িতে ছাড়া হবে ৷ প্রয়োজন অনুসারে সেফ হোমের বেড় বাড়ানো হবে।”