Written By স্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
বদলে গেল বিষ্ণুপুরের মন্দিরে প্রবেশের নিয়মবিধি। বিষ্ণুপুরের প্রাচীন ৩টি মন্দিরের তালা খুলল সোমবার। মল্ল রাজাদের প্রাচীন শহর বিষ্ণুপুর । শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক চোখ ধাঁধানো প্রাচীন টেরাকোটার মন্দির। মল্ল রাজাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ইতিহাসের টানে বিষ্ণুপুরে সারাবছর ছুটে আসেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিষ্ণুপুরের পর্যটন শিল্প। লকডাউনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় একাধিক মন্দির। রাজ্য সরকার ৮ জুন বিষ্ণুপুর শহরে পর্যটকদের প্রবেশের ছাড়পত্র দেয়। পর্যটকদের প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হলেও রাসমঞ্চ, জোড়বাংলো সহ বেশ কিছু মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। সোমবার সকালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নির্দেশমত খুলে দেওয়া হয় পর্যটকদের জন্য সেই সব মন্দির। মন্দিরগুলির তালা খুলে দেওয়ার পর মন্দিরগুলিকে স্যানিটাইজ করা হয়।ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম চালু করেছে। যেগুলি মেনে চলতে হবে পর্যটকদের। যেমন আগে রাসমঞ্চে এসে টিকিট কেটে বেশ কিছু মন্দিরে প্রবেশ করতে হত পর্যটকদের। যারমধ্যে ছিল রাসমঞ্চ, পাঁচচূড়া ও জোড়বাংলো মন্দির। করোনা পরিস্থিতিতে সেই টিকিট কাটার নিয়ম বদল করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। অনলাইন টিকিট কেটে কিম্বা মন্দিরের সামনে রাখা বারকোড স্ক্যান করে টিকিট কেটে এই সব মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকেরা। মন্দিরে প্রবেশের সময় পর্যটকদের নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর লিপিবদ্ধ করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না পর্যটকরা। প্রবেশের সময় হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকছে। পর্যটকদের সামাজিক দূরত্ব মেনেই মন্দির দর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বরে একসঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলা আপাতত বন্ধ রাখছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। টিকিট ও টিকিটবিহীন সমস্ত মন্দিরগুলিতে নিয়মবিধি মেনেই পর্যটকদের মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে।