আইজল: কয়েক বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে ফের ভারতের মাটিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে মায়ানমারের নাগরিকেরা। এই ঘটনাও অনেকটা রোহিঙ্গাদের মতোই। তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই নমনীয় ভারতীয় প্রশাসন। শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য মিজোরামে।
থাকা বা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও বিষয়টি নিয়ে ফের উদ্বেগ ছড়িয়েছে। চলতি মাসের ১০ তারিখে মায়ানমারের চিনল্যান্ড প্রদেশে সামরিক অভ্যুত্থান চালায় মায়ানমারের সেনাবাহিনী। যার ফলেই সেই চিনল্যান্ডের বহু মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে আশ্রয় নিয়েছে ভারতের মাটিতে।
সরকারি হিসেব অনুসারে ১৮৫০ জন মায়ানমারের নাগরিক মিজোরামের হানথিয়াল জেলায় বসবাস করতে শুরু করেছেন। ওই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মায়ানমার থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য শিবির খোলা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে থাকা এবং খাওয়ার। সেই সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে মিজোরামের হানথিয়াল জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন- ডুয়ার্সেও ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০
অতিমারি আবহে ওই সকল শরণার্থীদের জন্য ওষুধের ব্যবস্থাও করা হয়েছে অলে জানিয়েছেন হানথিয়াল জেলা প্রশাসনের এক কর্তা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে শরণার্থীদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছেন ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। যিনি একটি পাহাড়ি নদী পার করে মায়ানমার থেজে মিজোরামে প্রবেশ করেছেন।
আরও পড়ুন- ইঞ্জিনিয়ারিং-এ রামায়ণ পড়াবে বিজেপি, কোরান-বাইবেল যুক্ত করার দাবি কংগ্রেসের
চলতি মাসের গত ১০ তারিখে চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে মায়ানমার সেনার সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপর থেকেই বহু মানুষ ওই প্রদেশ ছেড়ে ভারতে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। যদিও এই সমস্যা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের শুরুর সময় থেকেই। তখন থেকেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সের বিবাদ শুরু হয়। যার জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় বহু মানুষ।
আরও পড়ুন- অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর চার কোটির সম্পত্তি, তাজ্জব ভিজিলেন্স বিভাগ
সরকারি তথ্য বলছে, গত মার্চ মাস থেকে প্রায় ১০ হাজার জন মায়ানমারের নাগরিক মিজোরামে প্রবেশ করেছেন। তালিকায় ২০ জন মায়ানমারের বিধায়ক রয়েছেন। যারা বিভিন্ন জেলায় বসবাস করছেন। ওই শরণার্থীদের জন্য সমগ্র মিজোরাম জুড়ে ৪০০ শিবির করা হয়েছে। শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। খোলা হয়েছে স্কুল।