কলকাতা: এবার ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরাও আন্দোলনে নামলেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা আচার্য সদন অভিযানের ডাক দেন। হাজারখানেক চাকরিপ্রার্থী সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনে জমায়েত হন। সেখান থেকে আচার্য সদনে মিছিল করে আসার পথে পুলিশ তাঁদের গতি রোধ করে। পর্ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় চাকরিপ্রার্থীদের। পুলিশ মিছিলকারীদের তাড়া করে। চাকরিপ্রার্থীরা শেষে ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে সার্ভিস রোডে অবস্থানে বসে পড়েন। তাঁদের দাবি, ২০১৭ সালে উত্তীর্ণ সব চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে। তাঁরা এতদিন মেয়ো রোড চত্বরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির কাছে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এদিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আমরণ অনশন এদিন চতুর্থ দিনে পড়ল। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। তিনি নবান্নে বসে জানিয়েছিলেন, ১০১৪ সালের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। এখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলছে, তাঁদের আবার ইন্টারভিউতে বসতে হবে। আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা আর ইন্টারভিউতে বসবেন না। নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আমরণ অনশন চলবে।
আরও পড়ুন:Bengaluru: ফের বন্যা পরিস্থিতি বেঙ্গালুরুতে, আগামী তিনদিন হলুদ সতর্কতা জারি
এদিনও অনশনরত কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দুপুরে করুণাময়ীতে অবস্থান মঞ্চে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বিজেপি নেতা বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে বলছি, আপনাদের দাবি ন্যায্য। আপনাদের চাকরির দায় মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে। এই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। পর্ষদের বক্তব্য, ওই আন্দোলনের জন্য তাদের কর্মীদের অফিসে যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।