Written By শাজাহান আলি
আগামীকাল মঙ্গলবার দুদিনের সফরে জঙ্গল মহলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেল ৪টের সময় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হবে খড়্গপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। করোনা আবহে সভাস্থলে প্রবেশের আগে প্রত্যেকের অ্যান্টিজেন নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থলে প্রবেশ করতে হলে গলায় ঝোলাতে হবে করোনা নেগেটিভের প্রশংসা পত্র, সেখানে থাকবে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বাক্ষর। সভাস্থলে আসন ফাঁকা রেখে আধিকারিকদের বসতে হবে, যার ফলে অনেক আধিকারিক এই সভাতে স্থান পাবেন না। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আধিকারিকরা অংশ নেবেন এই বৈঠকে। এই সভায় ভাতা প্রাপ্ত দু'জন পুরোহিতের চেক নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু একজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় তাঁকে বাতিল করে কেবল মাত্র একজন পুরোহিতের হাতেই ভাতার চেক দেওয়া হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায় মুখ্যমন্ত্রীর সভার মঞ্চে ও ডি জোনে যারা থাকবেন তাঁদের সকলেরই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় ১০০ জনের পরীক্ষা হয়েছে। বাকি কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি। কঠোর বিধি-নিষেধ মানা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাকে ঘিরে। সভা কক্ষে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছেন না অনেক আধিকারিক। সভার কাজে যুক্ত থাকবেন যারা এবং আধিকারিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিরা, যারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছাকাছি থাকবেন তাঁদের মধ্যে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার রাতেই তাঁদের রিপোর্ট আসার কথা আছে। যদি কেউ পজেটিভ হয় তাহলে তাঁকে সভাকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যারা সভাস্থলে ঢুকবেন তাঁদের অ্যান্টিজেন টেস্টের পর মুখ্য স্বাস্থ্য সচিবের স্বাক্ষর করা সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। যারা সভাস্থলে ঢুকবেন, তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে কিট দেওয়া হবে। যার মধ্যে থাকবে ফেস শিল্ড, মাক্স, একজোড়া গ্লাভস ও ১০০ মিলিলিটারের একটি করে স্যানিটাইজার। সভাস্থলে কারা ঢুকতে পারবেন, তার তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সভাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কলকাতা থেকে আসা মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি ছাড়া মাত্র ৪জন আমলা থাকছেন। জেলার মন্ত্রী সাংসদ বিধায়কের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কর্মধ্যক্ষরা থাকবেন, থাকছেন জেলা পরিষদের মেন্টাররাও। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সভা কক্ষে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে থাকছেন আইজি, ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও দু'জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ২৩ জন ওসি এবং আইসি। বাকিরা সব থাকছেন ভার্চুয়াল সভায়। করোনা সতর্কতায় কোনো ফাঁকি রাখতে চাইছে না প্রশাসন।