Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
ছবি সৌজন্যে- ট্যুইটার
আইএসএলে প্রথমবার কলকাতা ডার্বি। অন্যবার হলে এতক্ষণ ডার্বি জ্বরে কাঁপত পুরো শহর। দলের ফুটবলারদের অনুপ্রেরণা যোগাতে অনুশীলন মাঠেই পৌঁছে যেত দুই দলের বহু সমর্থক। টিকিটের জন্য ভিড় লাগত ময়দানে দুই প্রধানের ক্লাব তাঁবুতে। কিন্তু করোনা পরিস্হিতিতে সব ওলট-পালট হয়ে গেছে। এবার বায়ো-বাবলের মধ্যে আইএসএল হচ্ছে সূদুর গোয়াতে। গ্যালারিতে দর্শকদের প্রবেশেও নিষেধজ্ঞা। তাই ডার্বির আগের দিন ময়দানের সেই পরিচিত উন্মাদনা চোখে পড়ছে না।
তবে উন্মাদনা যে নেই, তা নয়। নিরুপায় সমর্থকদের উন্মাদনা প্রকাশ পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে। মাঠে এক সঙ্গে বসে খেলা দেখার সুযোগ নেই বলে জায়ান্ট স্ক্রিনে একসঙ্গে বসে খেলার দেখার ব্যবস্হা করেছে দুই দলের ফ্যান ক্লাবগুলো। মোহন-ইস্টের সমর্থকরা হার মানছে না। আর তাদের মতোই হার না মানার মানসিকাতা নিয়ে শুক্রবার গোয়াতে প্রথম আইএসএল ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল একে অপরের মুখোমুখি হবে। মোহনবাগানের কোচ অ্যান্হনিও হাবাস আগে এই কলকাতা ডার্বি না দেখে থাকলেও, তিনি আঁচ করতে পারছেন ডার্বির মাহত্ম্য। ম্যাচের আগের দিন ভার্চুয়্যাল সংবাদিক সম্মেলনে হাবাস জানান, ক্লাবের সমর্থকদের কাছে এই ডার্বি কতটা গুরত্বপূর্ণ তিনি জানেন। তিনি বলেন, “সর্মথকদের ভালো ফুটবল উপহার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এরজন্য আমরা পরিশ্রম করছি। আশা করি মাঠে সমর্থকদের ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারব।”
মোহনবাগান আগে একটি ম্যাচ খেলে ফেললেও ইস্ট বেঙ্গলের শুক্রবারই আইএসএলে অভিষেক হচ্ছে। তবে এর জন্য নিজেদের এগিয়ে রাখতে নারাজ হাবাস। তিনি বলেন, “ আমরা হয়তো একটা ম্যাচ খেলে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। এতে অ্যাডভান্টেজ যেমন আছে, একইভাবে ইস্ট বেঙ্গলের দলকে আমরা এখনও খেলতে দেখিনি, তাই তাদের শক্তি বা দুর্বলতা কোথায় সেটাও অজানা। কিন্তু তারা আমাদের দেখেছে।” ডার্বির আগে ইস্ট বেঙ্গল টিমকে বেশ সমীহই করছেন হাবাস। তিনি জানিয়েছে, ইস্ট বেঙ্গল যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তাদের কোচ রবি ফাউলার যখন ব্রিসবন রোরসের কোচ ছিলেন তাঁর সঙ্গে সাক্ষ্যাৎও করেছিলেন হাবাস। এদিকে প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় পেলেও, হাবাস মেনে নিচ্ছেন, দলে অনেক খামতি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দীর্ঘ সাত মাস পর প্লেয়াররা মাঠে নামছে, একটু সমস্যা তো হবেও। তবে টুর্নামেন্ট যত আগে গড়াবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” কেরল ম্যাচে চোট পয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন মাইকেল সুসাইরাজ। এতে টিমের কম্বিনেশনের সমস্যা হবে কিনা, প্রশ্নের উত্তরে হাবাস বলেন, “সুসাইরাজের ছিটকে যাওয়াটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি নিশ্চিত ছিলাম এ বছর সে জাতীয় জার্সি গায়ে চাপাত। কিন্তু ফুটবলে চোট আঘাত থাকবেই। আশা করব খুব শীঘ্রই মাঠে ফিরবে সুসাইরাজ।”