Written By স্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক মাস আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন হাতির হানায় মৃত পরিবারের ১ জনকে দেওয়া হবে সরকারি চাকরী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় তৎপরতা। আর তারপরেই হাতির হানায় নিহতদের পরিজনকে পুলিশের হোমগার্ড পদে নিয়োগ করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। প্রশিক্ষণ শুরু হল ৫৮ জনের।
হাতির হানায় নিহতদের পরিজনদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এবার নিহতদের পরিজনকে চাকরি দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়া জেলায় হাতির হানায় নিহত ৫৮ জনের পরিজনকে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে একসঙ্গে চাকরি দিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। নবনিযুক্ত হোমগার্ডদের মঙ্গলবার থেকে বাঁকুড়া পুলিশ লাইনে শুরু হল ৪২ দিনের প্রশিক্ষণ। গত দু'দশক ধরে প্রতি বছর নিয়ম করে বছরে এক বা একাধিক বার দলমা পাহাড় থেকে এ রাজ্যে আসা হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা হয়ে ঢুকে পড়ে বাঁকুড়া জেলায়। তারপর বিষ্ণুপুর, জয়পুর, সোনামুখী, বড়জোড়া, মেজিয়া সহ বিভিন্ন ব্লকের বিস্তির্ন জঙ্গলে মাসের পর মাস কাটিয়ে ফিরে যায় দলমায়। শ'য়ে শ'য়ে আসা হাতির হানায় জেলায় বিঘার পর বিঘা জমির ধান সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাতির হানায় ঘটে একাধিক প্রাণহানির ঘটনাও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাতির হানার শিকার হন মধ্য ও নিম্ন বিত্ত পরিবারের মানুষেরা। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হাতির হানায় প্রাণ হারানোয় দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবারগুলি। রাজ্য সরকার হাতির হানায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি মৃতের নিকট আত্মীয়ের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। তারপরই শুরু হয় তোড়জোড়। গত ৮ বছরে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হাতির হানায় নিহত ৬১ জনের পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়। যারমধ্যে ৩ টি পরিবার অন্য দফতরে কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। বাকি ৫৮ জন মৃতের নিকট আত্মীয়ের হাতে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেয় বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। যাদের মধ্যে ১২ জন মহিলা। চাকরি মেলায় পরিবার গুলির মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।