Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
উত্তর প্রদেশে এক সাংবাদিক ও তার বন্ধুকে স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেও রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। কিন্তু বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় তা পূর্ব পরিকল্পিত খুন বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
মৃত সাংবাদিক রাষ্ট্রীয় স্বরূপ নামে লক্ষ্ণৌয়ের একটি স্থানীয় পত্রিকায় কাজ করেন। তাঁর নাম রাকেশ সিংহ নির্ভিক(৩৭)। বাড়ি বলরামপুরে। জানা গেছে, শুক্রবার তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর বন্ধু পিন্টু সাহু (৩৪)। অভিযোগ উঠেছে, ওই দিন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে-সহ তিন ব্যক্তি রাকেশের বাড়িতে ঢুকে রাকেশ ও পিন্টুর গায়ে স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিন্টুর। রাকেশকে লক্ষ্ণৌয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই তিনি মারা যান।
সোমবার রাতে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বলরামপুরের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে মূল অভিযুক্ত রিঙ্কু মিশ্রও রয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্তের মধ্যে আক্রমের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। আক্রমের এক বন্ধু ললিত মিশ্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বলরামপুরের পুলিশ সুপার দেবরঞ্জন বর্মা বলেন, ‘খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় আমরা বুঝতে পারি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। খুনের পেছনে দু’টি উদ্দেশ্য ছিল, নির্ভিক সাংবাদিকতা এবং দেনা-পাওনা নিয়ে পিন্টু ও রিঙ্কুর মধ্যে বিবাদ। ২৭ নভেম্বর একটি বিয়ার বারের সামনে ললিত ও পিন্টুর মধ্যে বাদানুবাদ ও মারপিট হয়।’ তদন্তে জানা গেছে, খুনের আগে রাকেশ ও পিন্টু দু’জনকেই জোর করে মদ্যপান করায় দুষ্কৃতীরা। যাতে এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালানো যায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে আরও অনেককেই এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ভরতি রাকেশের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই খবর করছিলেন তিনি। ‘সত্য ঘটনাকে সামনে আনার এটাই মূল্য।’