Written By দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
ফের বাড়ছে সংক্রমণ সঙ্গে মৃত্যুর হার, কমছে সচেতনতা। প্রশ্নচিহ্নের সামনে পশ্চিমি দুনিয়া। করোনা সংক্রমনের হার ফের বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিমী দেশ গুলিতে। তার জেরে এরই মধ্যে ফের লকডাউনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত- স্কটল্যান্ড, ব্রিটেন, জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড সহ অন্যান্য দেশ গুলি। করোনা সংক্রমণ থেকে নিস্তার পেতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ- মুখে মাস্ক পরা, বার বার হাতে সাবান ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, ভিড় এড়িয়ে চলা। কিন্তু সে সব কিছুকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, ফের পশ্চিমী দেশের অধিকাংশ মানুষজন সচেতনতার বিষয়ে উদাসীনতাকেই প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে।
অধিকাংশ পশ্চিমী দেশেই শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে অফিস-আদালত এমনকি বিয়ার পাব গুলিতেও ভিড় জমাতে শুরু করেছিল উৎসাহী মানুষজন। শিশুদের কিন্ডারগার্ডেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিও পঠন-পাঠন শুরু করে ফেলেছিল। করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধির ফলে ফের সেগুলিও ফের বন্ধ হওয়ার মুখে।
স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত এডিনবার্গ শহরের রাস্তা ঘাটে মানুষজনের ভিড়ভাট্টা না থাকলেও, অধিকাংশ মানুষের মাস্ক পড়ার অনীহা সচেতনতার অভাবকেই তুলে ধরছে। যেখানে এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলিতে করোনা সংক্রমিত মানুষের সুস্থতার হার যথেষ্ট বেশি, সেখানে পশ্চিমী দেশগুলির সুস্থতার হার যথেষ্ট কম, মৃত্যুর হার বেশি। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের জেরে প্রমাণ হয়েছে এশিয়া ও আফ্রিকার মত তৃতীয় বিশ্বের মানুষজনের থেকে পশ্চিমী দেশগুলির মানুষজনের ইমিউনিটি পাওয়ার যথেষ্ট কম। তারমধ্যে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে উপেক্ষা করার প্রবণতা, আদপে পশ্চিমী দুনিয়ার শিক্ষা ও সচেতনতাকেই ফের একবার প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।