Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
আগামীকাল থেকে রেল পথে যাতায়াত করতে পারবেন আসানসোল, মালদহ ডিভিসনের যাত্রীরা। কাল থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা। মোট ২৭ জোড়া বা ৫৪টি রেল চলবে এই পথে। এর মধ্যে ৩০টি ট্রেন চলবে হাওড়া ডিভিসনে, ২২টি ট্রেন চলবে আসানসোল ডিভিসনে ও ২টি ট্রেন চলবে মালদহ ডিভিসনে।
হাওড়া ডিভিশনে চলবে ৩০টি ট্রেন। যার মধ্যে বর্ধমান-রামপুরহাটের মধ্যে চলবে ৮টি ট্রেন, রামপুরহাট-দুমকা-জসিডির মধ্যে চলবে ২টি ট্রেন, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ মধ্যে চলবে ৮টি ট্রেন, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাটের মধ্যে চলবে ৪টি ট্রেন। আসানসোল ডিভিশনে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে ২২টি। যার মধ্যে বর্ধমান-আসানসোল মধ্যে চলবে ৮টি। অন্ডাল-সাঁইথিয়ার মধ্যে চলবে ৪টি ট্রেন। আসানসোল-ধানবাদের মধ্যে চলবে ৪টি ট্রেন। আসানসোল-জসিডি-ঝাঁঝাঁ সেকশনে চলবে ৪টি ট্রেন। মালদা ডিভিশনে চলবে ২টি ট্রেন। কোভিড প্রটোকল মেনেই চালু হবে এই সব ট্রেন পরিষেবা।
কলকাতা লাগোয়া শহরতলির বাইরে থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। মূলত সেই সব এলাকার মানুষদের জন্যে রেল পরিষেবাকে আরও বিস্তৃত করতে চায় নবান্ন। কালী পুজোর আগে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শুধুমাত্র শহরতলি রুটে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেন চলাচলের অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে গত ১১ নভেম্বর থেকে। এ দিকে জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য নন-সাবার্বান বিভাগে ট্রেন না চলায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়, যার চাপ এসে পড়ে প্রশাসনের ওপরে। উল্লেখ্য, ট্রেন চলায় মহানগরের সঙ্গে রেলসূত্রে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু জেলা। তবে ব্রাত্য ছিল বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের একটি বড় অংশ। বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে চলছিল না লোকাল ট্রেন। কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় ট্রেন চলছিল না। আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট শাখায়ও ট্রেন বন্ধ ছিল।
বহরমপুরের সাংসদ অধীর চোধুরী রেলমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছিলেন। হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন বীরভূম জেলায় লোকাল ট্রেন চালুর জন্য। কোভিড সংক্রমণ রোধে এরই মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী চালু করেছে রেল মন্ত্রক। সেই বিধি মেনেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে রাজ্যে। জেলা স্তরে রেল যোগাযোগ চালু হলেও একই নিয়মাবলী মেনে চলা আবশ্যিক করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, রেল বিধিতে জানানো হয়েছে, প্ল্যাটফর্মে আলাদা ঘর রাখতে হবে। কোনও যাত্রী উপসর্গযুক্ত হলে তাঁকে সেই ঘরে আলাদা করে রেখে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। প্রতিটি স্টেশনে গণ পরিবহণ যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাগুলিকেই। কাছাকাছি একাধিক স্টেশনের মধ্যেও পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হবে। হকার ও ভেন্ডারকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রাজ্যের পুলিশ যেন ঢোকা বেরোনো নিয়ন্ত্রণ ঠিক করে, সেদিকে জোর দিচ্ছে রেল