Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডৈস্ক
ক্যানবেরাতে কি মহম্মদ শামিরা হাসি ফোটাতে পারবেন বিরাট কোহলির মুখে?
অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর পর দুটো এক দিনের ম্যাচে হারের পর গেল গেল রব উঠৈ গেছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। যে যেভাবে পারছে সমালোচনা করছে বিরাট কোহলির ক্যাপ্টেনশিপের। আবার কেউ কেউ জ্ঞান দিচ্ছে। একে খেলালে ভাল হত, ওকে কেন খেলানো হচ্ছে। এবং সে সব কচকচানি থেকে যেটা বেরিয়ে আসছে তা হল বোলিং ব্যর্থতার জন্য ভারত পর পর দুটো ম্যাচ হেরে সিরিজটাই হেরে গেছে। বুধবার ক্যানবেরাতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ এখন শুধু নিয়মরক্ষার। ভারত জিতলে সিরিজের ফল পাল্টাবে না। তবে টি টোয়েন্টি সিরিজের আগে ভারত খানিকটা হলেও মনোবল ফিরে পাবে।
অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে পাবে না ডেভিড ওয়ার্নারকে। কুঁচকির ব্যথার জন্য সাদা বলের সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন ওয়ার্নার। তাঁর লক্ষ্য টেস্ট সিরিজে ফিরে আসা। তবে সেটা তিনি পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। টেস্ট সিরিজের জন্য নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সহঅধিনায়ক প্যাট কামিংসও। তবে তাঁর কোনও চোট নেই। টেস্ট সিরিজে নিজেকে তাজা রাখার জন্যই তিনি তুলে রাখলেন নিজেকে।
ভারতের সেই সুবিধে নেই। জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে যে করেই হোক ক্যানবেরাতে জিততেই হবে তাদের। এটা ঠিক যে ভারতের হারের সবচেয়ে বড় কারণ জশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামির খুব খারাপ বোলিং। পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে আই পি এল-এ নিজেদের নিংড়ে দেওয়ার পর বুমরা-শামি সামান্যতম বিশ্রামও পাননি। এক দিনের মধ্যে উড়ে যেতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। এবং সেখানে আবার নিভৃতাবাস। সেই সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকেই চলছে এ সব। তিন মাসের উপর হয় মাঠ, না হয় হোটেল—এই হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবন। সেখানে একঘেয়েমির রেশ পড়তেই পারে পারফরম্যান্সের উপর। শামি এবং বুমরার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। তাদের খারাপ ফর্মটা ঢেকে দিতে পারতেন নভদীপ সাইনি, রবীন্দ্র জাডেজা, যজুবেন্দ্র চহালরা। কিন্তু তাঁরাও তো সেই আই পি এল খেলেই আসছেন। বিশ্রাম পাওয়ার সুযোগও পাননি।
তার উপর আছে বোলিং নিয়ে নানারকম মতভেদ। একে তো সিডনির দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট কোহলি শুরুতে দু ওভার মাত্র বল করিয়ে বিশ্রাম দিয়েছেন শামিদের। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। এবং রজার বিনি, চেতন শর্মারা প্রশ্ন তুলেওছেন। তার উপর যেভাবে বল করলে অস্ট্রেলিয়ার ড্রপ ইন পিচে উইকেট পাওয়া যায় তা করতে পারেননি বুমরারা। কেউ বলছেন আরও সুইং করানো দরকার, কেউ বলছেন থ্রি কোয়ার্টার বল করতে হবে। কারুর কারুর মনে হয়েছে ষষ্ঠ বোলারের অভাবে ভুগেছে ভারত। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়া চার ওভার বল করেছেন এবং তিনি স্টিভ স্মিথের উইকেটও পেয়েছেন। এ রকম নানা উপদেশে জেরবার ভারতীয় দল। তবে ভরসার কথা এই যে ভারতের ব্যাটিং নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা হয়নি। প্রথম ছয়জন ব্যাটসম্যান মোটামুটি রানের মধ্যে আছেন। দুটো ম্যাচেই ভারত ৩০০-র উপর রান করেছে। বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, কে এল রাহুলরা রান পেয়েছেন। কিন্তু ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌছতে পারেননি। এখন দেখার ক্যানবেরাতে ভারতের এই ব্যাটিং তাদের জেতাতে পারে কি না। নাকি আবার একটা হার অপেক্ষা করছে কোহলিদের জন্য।