Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
ছবি সৌজন্যে- স্ক্রোল
নর্থইস্ট- ২(সুরচন্দ্র(আত্মঘাতী), রোছারজিলা) ইস্ট বেঙ্গল- ০
এটাই বাকি ছিল! হারের হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পথ চলা শুরু হলো। এদিন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ০-২ গোলে হারল রবি ফাউলারের দল। লাল হলুদ সমর্থকদের কাছে ইস্ট বেঙ্গলের এদিনের হারের ভিলেন অবশ্য রেফারি সন্তোষ কুমার। এদিন তিনি নিশ্চিত দুটি পেনাল্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন ইস্ট বেঙ্গলকে। তবে শুধু তাঁকে দোষ দিলে হবে না। এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে একটিও বল জড়াতে পারেননি বলবন্ত সিংরা। বরং উল্টে এদিনের ম্যাচে সুরচন্দ্র নিজেদের জালেই বল জাড়ালেন।
শেষ মুহূর্তে আইএসএলে প্রবেশ, দল কম সময় পেয়েছে। এই সব কথা আর ইস্ট বেঙ্গল-মোহনবাগানের জন্য কবে খেটেছে। কলকাতার এই দুই প্রধান যে কোনও টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে নামে। কিন্তু এবার আইএসএলে লজ্জার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে লাল হলুদ দল। কোচ রবি ফাউলারও ম্যাচের শেষে বলে গেলেন, ইস্ট বেঙ্গল স্কুল বয় ফুটবল খেলছিল। শুধু ফাউলার কেন ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় সুরচন্দ্রের আত্মঘাতী গোলটি দেখলে ফুটবলবুদ্ধি সম্পন্ন যে কোনও ব্যক্তি একই কথা বলবেন। ডানদিক থেকে কেওসি আপার উদ্দেশ্যে ইদ্রিসা সিলার ভাসনো বল বক্সে মধ্যে স্কট নেভিল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে তা সুরচন্দ্রের পায়ে প্রতিহত হয়ে ইস্ট বেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। এর আগে ম্যাচের ২০ মিনিটে অবশ্য ম্যাঘোমাকে বক্সের মধ্যে অবৈধ ফাউল করে ফেলে দিয়েছিলেন নর্থ-ইস্টের আশুতোষ মেহতা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে রেফারি সন্তোষ কুমার পেনাল্টি দেননি। উপহারের এই গোল নিয়েই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে নর্থইস্ট ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বলবন্তকে তুলে সিকে ভিনিত এবং লুয়াংয়ের জায়গায় রফিক মাঠে নামতে ইস্ট বেঙ্গলের আক্রমণে ধার বাড়ে। এরপর অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ফাউলারের শিষ্যরা। ইস্ট বেঙ্গলের খেলায় একজন প্রকৃত বক্স স্ট্রাইকারের অভাব চোখে পড়ছিল। ম্যাঘোমা, পিলকিংটনরা গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা গোলে পরিণত করার লোক নেই। শেষ দিকে সমতায় ফিরতে ফাউলারের দল মরিয়া হয়ে আক্রমণ করছিল। তবে ৯১ তম মিনিটে সুপার-সাব ভিপি সুহেরের থালায় সাজানো বল থেকে গোল করে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত করেন রোছারজিলা।
ফলস্বরুপ তিন ম্যাচ পরও ইস্ট বেঙ্গলের ভাঁড়ারে শূন্য পয়েন্ট। পয়েন্ট তালিকায় সবার তলানিতে। লিংডোদের পরের ম্যাচ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। দেখা যাক সেই ম্যাচের আগে বিধ্বস্ত লাল হলুদ প্লেয়ারদের কোন মন্ত্রে উজ্জ্বিবীত করেন গুরু ফাউলার। মাঝে অবশ্য পাঁচ দিন হাতে পাচ্ছেন তিনি।