Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
নিয়ম ভেঙেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান তিনি। ফলে তাঁর যাতায়াতের পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জে পি নাড্ডার নিরাপত্তায় ছিলেন ৪জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৮ জন ডিএসপি, ৮ জন ইন্সপেক্টর, ৩০ জন অফিসার, ৪০ জন র্যাফ, ১৪৫ জন কনস্টেবল ও ৩৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, জে পি নাড্ডার কনভয়ে ছিল প্রায় ৫০টির কাছাকাছি বাইক ও গাড়ি ছিল। অভিযোগ সেই মিছিল থেকে বিজেপির নেতা রাকেশ সিং প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ক্রিমিনাল কেস রয়েছে প্রায় ৫৯টি। সে গাড়ির দরজা খুলে নানা অঙ্গভঙ্গী করে।’ ফলে রাকেশ সিংয়ের প্ররোচনায় যে গতকাল শিরাকোল ও দোস্তিপুরে অশান্তি শুরু হয় সেদিকেই ইঙ্গিত করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে উস্তি ও ফলতা থানা রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। অপরদিকে, কেন্দ্র যে ভাবে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজি বীরেন্দ্রকে ডেকে পাঠিয়েছে তার নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস দল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ‘যেভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা অসাংবিধানিক। দেশে এমন কোনও আইন নেই যার দ্বারা কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুখ্যসচিব ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে ডেকে পাঠাতে পারে।’ তবে প্রশাসনের দুই আধিকারিক দিল্লি যাচ্ছেন বলে শুক্রবার বিকালে নবান্ন সূতএ জানা গেছে। নবান্ন সূত্রে খবর মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে একটি চিঠি পাঠিয়ে বৃহস্পতিবারের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনমা দিয়ে দিল্লি যেতে না পারার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে, তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই চিঠি আসলে যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর বিরোধী। কেন বিজেপির নেতা এসে দুষ্কৃতী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেই প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের শাসক দল৷ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়।’
রাজ্যপাল অবশ্য নাড্ডা ইস্যুতে রাজ্যকে আক্রমণ করেছেন। তার জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যপালের খবরের উৎস নিয়েই তোপ দেগেছে শাসক দল। পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘রাজ্যপাল ওয়েট ও ওয়াচ করুন। কোনও অসুবিধা নেই তাতে।’ মজার ছলেই তিনি বলেছেন, জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল হবে জানলে আম্বেদকর রাজ্যপাল পোস্ট করতেন না। অন্যদিকে, অপর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ পায়। আর তা থেকে নজর ঘোরাতেই ওরা এসব করেছে।’