Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
শুভেন্দু অধিকারীর পর এ বার দলের আরও এক বিক্ষুব্ধ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা শুরু করল তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার সকালে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি কলকাতার একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, ‘যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করার পরেও তাঁকে পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। প্রকারন্তরে দুর্নীতিগ্রস্ত, অস্বচ্ছ, কুচক্রী স্তাবকদের সামনের সারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন স্তাবকতার যুগ। ওই মঞ্চে এই ভাষায় ক্ষোভ উগরেই তিনি থেমে থাকেননি। দুর্নীতিগ্রস্ত, স্তাবকদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে একজোট হওয়ার ডাকও দেন রাজীব। দক্ষিণ কলকাতায় একটি ক্লাবের শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে রাজীব বলেন, ‘এখন সময় এসেছে যে মুখগুলোকে মানুষ পছন্দ করেন না, মানুষের কাছে যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাঁদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার। এঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে হবে। 'প্রতিবাদের আওয়াজ' তুলতে গিয়ে সামনে যদি রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাও আসে তা হলেও প্রতিবাদের পথ থেকে সরবো না। খারাপ লাগে যখন যোগ্যতার সঙ্গে কোথাও কাজ করার চেষ্টা করেছি, কাজ করেছি, জানি না, কোথায় কী হয়েছে! সঙ্গে সঙ্গে পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। স্তাবকদের সামনের সারিতে আনা হয়েছে। এগুলো যন্ত্রণা দেয়। বলে বোঝাতে পারব না সেই যন্ত্রণা।’ তবে এদিনের বৈঠক সেরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দলের ভেতরে আলাপ আলোচনা চলতেই পারে। তবে কারা এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে তা আমি বলতে পারব না। এই ধরনের কাজে আমি বিশ্বাসী নই। আমার প্রয়োজনও নেই।’ তবে বৈঠকে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানাতে অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ এই বিষয়ে যা বলার তা পার্থ দা বলবেন।’
তৃণমূল দলীয় সূত্রে খবর, রাজীবের সঙ্গে মহাসচিবের আলোচনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। তবে দল মনে করছে রাজীবের ক্ষোভ যথার্থ। আলোচনা হয়েছে খোলামেলা। রাজীব দলের গুরুত্ত্বপূর্ন মুখ। আগামীদিনে রাজীবের ওপর দলের আরও দায়িত্ব বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা। আগামী সপ্তাহে আবারও বৈঠকের ইঙ্গিত মিলেছে।