Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
কৃষক আন্দোলনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩০০০-৩৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। অভিমত প্রকাশ করেছে বণিকসভা অ্যাসোচেম। তাই এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র এবং কৃষক উভয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য। এই মর্মে তাদেরকে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোচেম। এই বিক্ষোভের ফলে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খাচ্ছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশের মতো দিল্লির আশপাশের রাজ্য গুলি। এনিয়ে অ্যাসোচেমের বক্তব্য, এই সব রাজ্য গুলির অর্থনীতি প্রাথমিকভাবে কৃষি নির্ভর। তবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সুতি টেক্সটাইল অটোমেশন, কৃষি যন্ত্রপাতি ও আইটি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বাণিজ্য পর্যটন আতিথেয়তা এবং পরিবহন ক্ষেত্র এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশেষ সহায়তা করে। অ্যাসোচেমের সভাপতি নিরঞ্জন হিরানান্দনি জানিয়েছেন, পাঞ্জাব হরিয়ানা হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু কাশ্মীরের সম্মিলিত অর্থনীতির পরিমাণ ১৮ লক্ষ কোটি টাকা। এদিকে এই কৃষক আন্দোলনের ফলে রাস্তার টোল প্লাজা এবং রেলপথ অবরোধের ফলে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। টেক্সটাইল অটো উৎপাদন, সাইকেল এবং ক্রীড়াসামগ্রী মতো শিল্পজাত পন্যের রফতানির বাজার থাকলেও ক্রিসমাসের আগে সেগুলির অর্ডার পূরণ করা সম্ভব হবে না। এর ফলে বিশ্ববাজারের ক্রেতাদের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। পাশাপাশি অ্যাসোচেমের সাধারণ সম্পাদক দীপক সুদ জানিয়েছেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় ফল ও তরিতরকারি খুচরো মূল্যের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। যখন করোনা লকডাউন পেরিয়ে আনলক করার মাধ্যমে স্বাভাবিক হওয়ার পথে দেশ তখন শিল্প এবং কৃষকদের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। এর আগে অপর বণিকসভা সি আই আই কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে জানিয়েছিল, এই আন্দোলনের ফলে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্ন ঘটছে। যার প্রভাব পড়বে ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে এবং করোনা সংকট থেকে যখন ঘুরে দাড়াচ্ছিল তখন তা ধাক্কা খেলো। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স জানিয়েছে এই কৃষক আন্দোলনের জন্য গত ২০দিনে বাণিজ্য এবং অন্যান্য কার্যকলাপের ক্ষেত্রে ৫০০০ কোটি টাকা ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছে দিল্লির ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে। ওই চিঠিতে বণিকসভার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে কৃষক বিক্ষোভের জেরে কৃষি পশুপালন সহ সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। দিল্লির চারপাশে বিভিন্ন সীমানায় তা বন্ধ থাকায় রীতিমতো যানজট তৈরি হয়েছে। যার প্রভাবে পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে গিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে উত্তর রেল।