Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
২০২১ এর জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অযোধ্যার রামমন্দির তৈরির কাজ। তবে তার আগে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল রামমন্দির নির্মাণ। সরযূ নদীর তীরে যে অঞ্চলে রামমন্দির তৈরি হবে সেই অঞ্চলের মাটিতে বালির ভাগ অনেকটাই বেশি। এমন মাটিতে মন্দির নির্মাণ করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে বাধা কাটিয়ে মন্দির নির্মাণ যে হবেই তা নিয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
সরযূ নদীর তীরে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দির। তবে মন্দির নির্মাণ করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন নির্মাণকর্মীরা। ওই অঞ্চলের মাটিতে বালির ভাগ অনেকটাই বেশি আর সেই কারণেই মন্দিরের পিলার তৈরিতে অসুবিধে হচ্ছে। পিলার তৈরি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে মাটির নীচের প্রায় ১০০ফিট গভীরেও বালির পরিমাণ অনেকটা বেশি। ফলে মন্দিরের স্থাপত্য কৌশলে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে আইআইটি-র সদস্যরা। মাদ্রাজ, মুম্বই, কানপুর, দিল্লি, গৌহাটি আইআইটি-র সদস্যরা মন্দির নির্মাণের আগে বারবার বৈঠকে বসে এহেন পরিস্থিতি থেকে কেমন ভাবে রেহাই পাওয়া যায়,সেই চেষ্টাই করছেন।
মন্দিরের জন্য পিলার তৈরি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে মাটির ১৭ মিটার নীচে বালির ভাগ অনেকটাই বেশি। আরও গভীরে বালির পরিমাণ আরও বেশি। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জলাধার নির্মাণের কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। নদীর জল আটকে রাখতে ড্যাম তৈরির কৌশল অবলম্বন করেও জমিতে বালির আধিক্যের জন্যই আটকে যাচ্ছে রামমন্দির তৈরির কাজ। মাটির নীচে প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে পাঁচিল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। শোনা যাচ্ছে,ওই পাঁচিল রামমন্দিরের সুরক্ষা কাজেই ব্যবহৃত হবে।১১কোটি পরিবারের স্বেচ্ছায় দান করা অর্থ থেকেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ হচ্ছে। আপাতত প্রযুক্তিগত কারণে রামমন্দির নির্মাণে বিলম্ব হলেও ১০০০ বছরের বেশি সময় ধরে রামমন্দিরকে টিকিয়ে রাখতে দীর্ঘপ্রতিজ্ঞ ট্রাস্ট। শেষমেশ পরিবেশকে কিভাবে জয় করেন তারা সেটাই এখন দেখার বিষয়।