Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলকে ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই এই মুহূর্তে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকুন সবাই, এই মর্মে এক আবেদন জানান হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামনাতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে তৃণমূল দলকে ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিরোধী শক্তিগুলোর উচিত এই সময়ে মমতার পাশে থাকা।’ আর এভাবেই ‘ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শক্তি গড়ার’ আহ্বান জানানো হল শিবসেনার মুখপত্রে।
এর পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও বিজেপির বিরুদ্ধে একক শক্তির জোট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সামনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে সব শক্তিকে একই সঙ্গে, একটি ছাতার তলায় এসে শক্তিশালী ইউপিএ জোট তৈরি করতে হবে। আর সেই জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশ্নে শরদ পওয়ার উপযুক্ত মুখ।’ সামনায় আরও লেখা হয়েছে, ‘বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। তাই এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষ দেওয়ার বদলে বিরোধীদের উচিৎ নিজেদের শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া। বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি সার্বিক নেতার প্রয়োজন। রাহুল গান্ধী একক ভাবে লড়াই করছেন। কিন্তু ইউপিএ জোটের মধ্যে থাকা অন্য দলগুলো কৃষকদের পক্ষে চলা সেই প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।’
এর পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও সমালোচনা করা হয়েছে সামনায়। বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেস দলের এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখা উচিত, কেন তাদের নেতৃত্বকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি? নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের মতো নেতৃত্ব বর্তমানে ইউপিএ-এর মধ্যে নেই। তৃণমূল, শিবসেনা, অকালি দল, বিএসপি, সমাজবাদী পার্টি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজু জনতা দলের মতো আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপির বিরোধী দল হিসাবে কাজ করে চলেছে। অথচ তারা কেউই কংগ্রেসের নেতৃত্বে তৈরি ইউপিএ-এর অংশ নয়। এই শক্তিগুলি যতক্ষণ না ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে, ততক্ষণ বিজেপির বিকল্প শক্তি হিসাবে কোনও জোটের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।