Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
‘বাংলায় মিথ্যা ও ঘৃনার রাজনীতি করছে বিজেপি। মানুষে মানুষে দাঙ্গা লাগিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বভারতীকে ঘিরে ঘৃণ্য রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি। বাংলার মেরুদন্ড ভাঙতে চক্রান্ত চলছে। বাংলায় আবার বর্গিরা হানা দিচ্ছে। সেই বর্গিদের থেকে, বহিরাগতদের থেকে বাংলাকে রক্ষা করতে হবে।’ মঙ্গলবার এই ভাষাতেই বোলপুরের রাঙা মাটি থেকে নাম না করে বিজেপি’র সর্বভারতীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য শান্তিনিকেতনের রাঙা মাটিতে গুরুদেব রচিত দেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুমকি, ‘জনগন পরিবর্তন করবে। একটু টাচ করে দেখো।’ সেই সভামঞ্চ থেকে রবি ঠাকুরের জন্মস্থান বিতর্ক, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। জনসভার শুরুতেই তুলে আনেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান নিয়ে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বিতর্কিত মন্তব্যের কথা। বীরভূম সফরে এসে বিশ্বভারতীকে রবি ঠাকুরের জন্মস্থান বলে উল্লেখ করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন সেই মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার আগে বাংলাকে জানতে হবে। কেউ কেউ তো রবি ঠাকুরের জন্মস্থানই বদলে দিচ্ছেন। গান্ধীজিকেই ওঁরা সম্মান করেন না। যাঁরা গান্ধীজিকে হত্যা করেছিলেন, তাঁরা ওঁদের নেতা!’
এদিনের জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্মৃতি রোমন্থন করে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে প্রথমবার শান্তিনিকেতন আসার কথা ব্যক্ত করে মমতার বলেন, ‘যখন দেখি বিশ্বভারতীর গায়ে পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ মানুষের মনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তখন আমি ভালবাসি না। বরং বলি, বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও। বিশ্বভারতীতে অকথা, কুকথা চলছে। বিশ্বভারতী তথা গোটা বাংলায় ঘৃণ্য ধর্মের আমদানি করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মকে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা। তিনি উপাচার্যকে ‘বিজেপির স্ট্যাম্প মারা’ বলেও কটাক্ষ করেন। মঙ্গলবার বোলপুরে ডাকবাংলো মোড় থেকে জামবুনি পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রোড শোয়ের শেষে জামবুনি মোড়ে জনসভায় ভাষণ দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জোর গলায় বলেন, 'টাকা দিয়ে কয়েকটা বিধায়ক কেনা যায়। কিন্তু তৃণমূলকে কেনা যাব না।'
Appreciate it, Loads of info! Best Essay writing buy essays