Written By সম্পাদক
দেশের প্রত্যেক চলচিত্র পরিচালক, স্ক্রিপ্ট রাইটার এমন কি অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও দিল্লির দিকে নজর রাখতে বলছি, এত বড় নৌটঙ্কির দিকে নজর রাখতে বলছি, সেই সব অভিনেতাদের চোখের দিকেও নজর রাখতে বলছি, যারা কি অনায়াসে তাদের মনের ইচ্ছে গোপন করে, মুখে আর এক অন্য অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলছেন, মুখে বলছেন এক, মনে ভাবছেন আর এক, নজর রাখতে বলছি সেই সব চিত্রনাট্যকারদের দিকে, যারা আড়াল থেকে যুগিয়ে যাচ্ছেন ডায়ালগ, বীর রস, করুণ রস আর অবশ্যই হাস্য রস। নজর রাখতে বলছি সেই সুপ্রিম কমান্ডার পরিচালকের দিকে, যার নির্দেশে এই কুনাট্য দেশের রাজধানীতে অভিনীত হচ্ছে, ইয়ে চান্স ন মিলেগা দোবারা। লুটিয়েন্স দিল্লিতে কত ষড়যন্ত্র রচনা হয়েছে, সেই কবে থেকে। কল্পিত পুরানের ইন্দ্রপ্রস্থও তো ছিল ওই দিল্লি, পাশার দান দিচ্ছিল শকুনি, তীব্র লোভে আর জিঘাংসায় চকচক করছিল তার চোখ, সভাসদদের প্রত্যেকের চোখ ছিল দ্রৌপদীর দিকে, তার বস্ত্রহরণের সময়, দুর্যোধন ঊরু চাপড়ে তার কামনা জানিয়েছিলেন পাঞ্চালীকে, মহাভারত। তারপরেও ইতিহাসেও বহুবার, ওই দিল্লিতে রচিত হয়েছে কুনাট্য, বহু ষড়যন্ত্রের সাক্ষী দিল্লির লালকেল্লা থেকে যমুনার জল। স্বাধীনতার পরেও বহুবার, স্যুটকেশ ভর্তি টাকায় পালটে গেছে সরকার, হিংসার আগুনে হাত সেঁকে তৈরি হয়েছে নতুন সরকার, কাল তারই পুনরাবৃত্তি হল। এক লড়াইয়ের আবহে এক ষড়যন্ত্রকে, আসুন একটু মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি।
আমাদের দেশে শাসনতন্ত্রের তিনটে ভাগ আছে, আইনসভা, মানে লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা, বিধান পরিষদ ইত্যাদি, যারা আইন তৈরি করে, পরিকল্পনা তৈরি করে, ব্যয় বরাদ্দের হিসেব তৈরি করে। প্রশাসন, যারা আইন লাগু করবে, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে, ব্যয় বরাদ্দ বুঝে খরচ করবে, তার হিসেব রাখবে। আর বিচারবিভাগ, যারা সংবিধান, আইনের রক্ষা করবে। আইন মেনে কাজ হচ্ছে কিনা তার বিচার করবে, প্রশাসন কাউকে অভিযুক্ত বলে হাজির করলে, তার বিচার করবে। কোনও নাগরিক, সে যার বিরুদ্ধেই হোক, অভিযোগ নিয়ে হাজির হলে তার বিচার করবে। সংবিধানে এই তিন স্তম্ভ, আইনসভা, পুলিশ, প্রশাসন, বিচারবিভাগের কাজের দায়রা, মানে তারা কী করতে পারে, কী করা উচিত তা লেখা আছে।
এখন সাধারণভাবে মানুষের কাছে, আইনসভা বা প্রশাসনের বিশ্বাসযোগ্যতা বহুদিন ধরে নামতে নামতে তলানিতে ঠেকেছে, আজ নয় বহু দিন ধরে, নেতা, পুলিশ, আমলাদের ওপর মানুষের বিশ্বাস নেই বললেই চলে। তাই মাঝে মধ্যেই শোনা যায়, ওই অমুক নেতা খুব সৎ, জানিস! মানে নেতাদেরতো চোরই হবার কথা, উনি চোর নন, ব্যতিক্রম। পুলিশ আমলাদের নিয়েও শোনা যায়, ওই পুলিশ অফিসার ঘুষ নেন না, ওই বিডিও কি ম্যাজিস্ট্রেট পয়সা নিয়ে কাজ করেন না, মানে ধরেই নেওয়া হয়, সব্বাই ঘুষ নেয়, উনি ব্যতিক্রম, উনি ঘুষ নেন না। বিচারবিভাগ নিয়েও মানুষ যে খুব খুশি তা নয়, বিচারবিভাগ নিয়েও মানুষের ভুরিভুরি অভিযোগ আছে, কিন্তু তুলনামূলকভাবে বিচারবিভাগের ওপর মানুষের কিঞ্চিৎ বেশি ভরসা আছে, আমরা প্রায়ই শুনি, একটা মামলা করলে কেমন হয়, ঠ্যালা বুঝিয়ে দেবো। এমনও হতে পারে বিচারবিভাগের ফোঁপরা চেহারাটা মানুষের কাছে এখনও উন্মুক্ত নয়, যে কোনও কারণেই হোক, মানুষ আদালতকে একটু বেশি ভয় ভক্তি করে, এবং ঠিক সেটার সুযোগ নিয়েই আদালত ঢুকে আসছে প্রশাসনের জন্য বরাদ্দ বিষয়ে নাক গলাতে, বা উল্টোটা, প্রশাসন চাইছে আদালতকে দিয়ে এই কাজগুলো করিয়ে নিতে, চুপিসাড়ে সেই কাজ হয়ে যাচ্ছে, আমরা দেখলাম রামমন্দির, দেখলাম কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া, আমরা দেখলাম সিএএ, এনআরসি বিলের সময় মহামান্য আদালতের ভূমিকা। আর একটা কথা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আদালত সর্বশক্তিমান, তার বিরোধিতা করা যায় না, আদালতের বিরোধিতা মানে আদালতের অবমাননা, এরকমটা সাধারণ ধারণা। এটাও সত্যি নয়, এই বাংলার এক নেতা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, একটা ইলিশমাছ ভেট পাঠালেও রায় প্রভাবিত করা যায়, সেই নেতার বক্তব্য নিয়ে আদালত কিছুই বলেনি। মৌনম সম্মতি বাচনম, মৌনতা, চুপ করে থাকা সম্মতির লক্ষণ। সত্যিটা হল, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে, কেবল আইন সভা, প্রশাসন নয় বিচারবিভাগ সম্পর্কেও কথা বলার অধিকার, সমালোচনা করার অধিকার আমাকে দেশের সংবিধান দিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই গতকাল সুপ্রিম কোর্টে কৃষি বিল নিয়ে যা হল, তাকে আমি কুনাট্য বলছি, তাকে আমি নৌটঙ্কি বলছি।
আইনসভা বিল পাস করেছে, অত্যন্ত অগণতান্ত্রিকভাবে, অতিমারীর মধ্যে, আলোচনার সুযোগ না দিয়ে। কৃষি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়, এমনকি রাজ্যের সঙ্গেও আলোচনা না করে এই বিল লাগু করে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে, স্বভাবতই যাদের জন্য এই বিল, তাঁরা ক্ষুব্ধ, তাঁরা এই বিল ফেরত নিতে বলছে, তাঁরা তো জানিয়েই দিয়েছে, আট আটটা মিটিংয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, আলোচনা নয়, সংশোধন নয়, বাতিল করতে হবে এই আইন। আর এমএসপি’র লিগ্যাল গ্যারান্টি দিতে হবে, আইনী নিশ্চয়তা। সোনার ফসল বুনবো আমি? দামের বেলায় বলবে তুমি? এ চলতে পারে না। সরকার বলেছে, তোমাদের দাবি মানবো না, এই আইন কৃষকদের জন্য, তাদের উন্নতির জন্য। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, কৃষকরা, কৃষকদের সংগঠন বলছে, আমরা কৃষক,আমরা মনে করছি এই আইন আমাদের স্বার্থবিরোধী, অতএব আইন বাতিল করো। সরকার বলছে, এই যে দেখো এত বড়বড় কর্পোরেট হাউস, ব্যবসায়ী সংগঠন, তারা স্বাগত জানাচ্ছে এই বিলকে। কৃষকরা বললেন, আমরা কৃষক, আমরা বলছি এই বিল কেবল কৃষকদেরই নয় উপভোক্তাদের এমনকি দেশের ক্ষতি করবে, বিল বাতিল করো। সরকার রাজি নয়, কৃষকরা দূর দূরান্ত থেকে হেঁটে, ট্রাক্টরে চেপে দিল্লিমুখো রওনা দিলেন, অবস্থান শুরু হল। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকরা নতুন করে রওনা দিল দিল্লিতে, রাজ্যে রাজ্যে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ। প্রথমে জলকামান, টিয়ার গ্যাস দিয়ে আটকানোর চেষ্টা হল, ব্যর্থ, সব বাধা ঠেলে, প্রথম যাত্রা উতরে দিল, এরপর সরকার বললো, এতো কেবল পঞ্জাব, হরিয়ানা রাজস্থান চলে এলো, হরা, হলুদ তো ছিলই লাল ঝান্ডাও চলে এলো, তারপর পশ্চিম ইউ পি থেকে টিকায়েত যোগ দিলেন। ওদিকে শরিক দলেরা বেরিয়ে যাচ্ছে, এমন কি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে। আট আটটা মিটিংয়ে কৃষকরা হাজির, সঙ্গে লঙ্গর, নিজেদের রান্না করা খাবার, সরকারের ফিস ফ্রাই পলিসি ব্যর্থ, এবং প্রত্যেকটা মিটিংয়ে একটাই কথা বিল বাতিল করো। ওদিকে সিন্ধু বর্ডার, টিকরি বর্ডার, নয়ডা বর্ডার জুড়ে তাঁবু আর তাঁবু। পৃথিবীর বৃহত্তম গণ আন্দোলন, মারা গেছেন ১০৮ জন, চলছে ৪৮ দিন হল। সরকার বিলক্ষণ বুঝেছেন, ফাটা বাঁশে আটকে গেছে, যায়, অনেক সময়েই যায়, সংবেদনশীল অঙ্গ আটকে গেলে অন্য কাউকে ডাকতে হয়, সে অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে। মোদী সরকারেরও ঠিক সেরকম অবস্থা, কৃষকদের এই গণ আন্দোলন যে পুলিশ, মিলিটারি দিয়ে দমন করতে গেলে তা অন্য চেহারা নেবে, সেটা পরিস্কার, নেতাদের ম্যানেজ করে বেরিয়ে যাবে তাও নয়, মিটিংয়ে বসে লাঞ্চের খাবারও নিজেরা নিয়ে আসছে, ওদিকে রাজ্যে রাজ্যে প্রতিবাদের কণ্ঠ তীব্র হচ্ছে, অন্য দেশেও। শেষ ঘটনা হরিয়ানাতে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের জেলায় ঢুকতে পারলেন না, হেলিকপ্টারের করে এসে দেখলেন তলায় হেলিপ্যাড খুঁড়ছেন আন্দোলনকারীরা, সভাস্থল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসে গেছে সেই সন্ধিক্ষণ, যখন এক নতুন চিত্র নাট্য রচনা করে সরকার কে ওই ফাটা বাঁশ থেকে বার করে নিয়ে আসতে হবে, না হলে পপাত চ, মমাত চ।
মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এগিয়ে এলেন, আদালতের এক্তিয়ার আছে? নিশ্চই আছে। আদালতের কাছে আবেদন জমা পড়েছে, এই আইনের সাংবিধানিক যথার্থতা নিয়ে, মানে এই আইন সংবিধা সম্মত নয়, অতএব বাতিল করুন। আদালত সেই আবেদন নিয়ে শুনানি শুরু করতে পারতেন, তা কিন্তু করলেন না। বলতেই পারতেন যে আরও বড় বেঞ্চের কাছে এ বিষয় পাঠানো হল, তারা বিবেচনা করুক এ আইন সংবিধান সম্মত কিনা, ততদিন স্থগিত থাকুক এই আইন, আন্দোলন কিভাবে চালাবেন, তা কৃষক নেতারা ভাবুন। না মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের গতকালের অবজার্ভেশন এবং রায়ের চিত্রনাট্য, মোটেই অত সোজা নয়। প্রথমে তো চিফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়া, জাস্টিস বোবদে এমন এমন কথা বললেন যে মনে হচ্ছিল, আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা বলছেন। পরে আদালত বললেন এ রায় স্থগিত রাখা হল, চার জনের এক কমিটি করা হল, এই কমিটি সব্বার সঙ্গে কথা বলে, নিজেদের মধ্যে বিচার আলোচনা করে, আদালতকে তাদের রিপোর্ট দেবে। মানে ৫/৬/৮/১২ মাস পর এই কমিটি যে রিপোর্ট দেবে তাতে যদি লেখা থাকে যে না এই কৃষি আইনগুলি কৃষকদের বিরোধী, তাহলে আদালত সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে, যদি কমিটি বলে, কৃষি আইনগুলো কৃষকদের স্বার্থরক্ষার জন্যই করা হয়েছে, তাহলে জয় শ্রী রাম। আদালতের নির্দেশেই বিল লাগু হবে, সরকার পক্ষ গণতান্ত্রিকভাবে এক চরম অগণতান্ত্রিক বিলকে মানুষের ওপর নামিয়ে আনতে পারবে, তার মানে একটা যদি থেকে যাচ্ছে, তাই না? যদি কমিটি বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়, তাহলে এমন কৃষি আইনের কী হবে যা কৃষকরা সমর্থন না করলেও, ট্রেডার আর কর্পোরেটরা দুহাত তুলে সমর্থন করছে, এই লাখ টাকার প্রশ্নকে সামনে রেখে আর এক চিত্রনাট্য রচনা হয়ে গেলো, কমিটির চারজনই এমন বাছা হল, যারা বহু আগে থেকেই এই আইন যে কত ভালো, এতে যে কৃষক আর দেশের কত লাভ হবে, তা জনে জনে বলে বেড়িয়েছেন, সে সব উদ্ধৃতি আজকের প্রতিটি নিউজ পেপারে ছড়িয়ে গেছে, তাদের স্বরূপ আটকে রাখা যায়নি, কারণ গতকালই আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই কমিটি ইত্যাদির কোনও প্রশ্ন নেই, আমরা এই চারজনের স্বরূপ জানি, ডাকা হোক বিশেষ অধিবেশন, বাতিল হোক কৃষি আইন, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের আইনী নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এই কমিটি তৈরি করে মান্ডয়ালি করার কাজ আদালতের নয়, এটা আইনসভায় পাস করানো হয়েছে, সেখানেই তাকে বাতিল করতে হবে। আদালত আসলে রায় দেবার বদলে সরকারকে বেল আউট করার চেষ্টা করছে, এটা পরিস্কার, মানুষের কাছে কৃষকদের কাছেও, তাই তাঁরা আর একবার পরিস্কার জানিয়েছে, নথিং লেস দ্যান স্ক্রাপিং দ্য ল, বিল বাতিল করো।
আর একটা মজার ঘটনা এই সুযোগে না বলে পারছি না, এর আগে আরেকবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারকের এক বেঞ্চ, এক আইনকে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল, সেটা ছিল মণ্ডল কমিশন লাগু করার আইন। ১৯৯০ সাল ভি পি সিং এর সরকার মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট মেনে তা ক্যাবিনেটে পাস করায়, সঙ্গে সঙ্গে উত্তর ভারত জুড়ে উঁচু জাতির মানুষ, ছাত্র, যুবকেরা মিলে এক আন্দোলন শুরু করে, আজকের আন্দোলন দিল্লিকে ঘিরে, সে আন্দোলন ছিল দিল্লি জুড়ে, সেদিনও সর্বোচ্চ আদালতে অনেকগুলো আবেদন জমা পড়েছিল, তারমধ্যে একটা আবেদন ছিল এইরকম যে, মণ্ডল কমিশনের ৫ জন সদস্যই তো হয় সিডিউল কাস্ট, না হলে সিডিউল ট্রাইবের মানুষজন, এরা তো বায়াস, এরা তো পক্ষপাতিত্ব করবেই, সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস রঙ্গনাথন সমেত পাঁচ জন বিচারপতির সামনে এই আবেদন রাখছিলেন, একজন নামকরা ব্যারিস্টার, তিনি বলছিলেন, মহামান্য আদালত, ওসব আইনের মার প্যাঁচ রাখুন, একটা ছবি দেখালেন তিনি বিচারপতিদের, দিল্লিতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল রাজীব গোস্বামী নামে এক আন্দোলনকারী, তার ছবি দেখিয়ে বললেন, এই মৃত্যু কাম্য নয়, এই অশান্তি কাম্য নয়, কেবল এগুলো মাথায় রেখেই এই আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিন, মি লর্ড। সেই উকিলের নাম এ কে ভেনুগোপাল, যিনি গতকাল সরকার পক্ষের হয়ে দেশের আটর্নি জেনারেল অফ ইন্ডিয়া হিসেবে কৃষি বিলের পক্ষে সওয়াল করতে নেমেছিলেন, সেদিন যা যা বলেছিলেন, আজ তার উলটো গান গাইলেন। আজ যখন ১০৮ জন মারা যান, তখন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবের মনে কোনও দাগ কাটে না, ১৯৯০ এ একজনের ছবি দেখিয়ে সওয়াল করছিলেন, সেদিন বলছিলেন ৫ জন ওবিসি বা সিডিউল কাস্ট হলে, তাদের রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব থাকবে, আজ চারজন সরকার সমর্থকদের নিয়ে কমিটি তৈরি হচ্ছে, তাঁর বিবেক জাগছে না, জাগছে না কারণ অহরহ চোখের সামনে রাজ্য সভার আসন ঘুরতে থাকলে কার আর বিবেক জাগবে বলুন?
তাই কেবল আইন সভা নয়, প্রশাসন নয় বিচারবিভাগও আমাদের সমান হতাশ করছে, সবকটা পথ বন্ধ হলে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ রুখে দাঁড়ায়, মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে, আমরা তৈরি, দেখতে চাই ২৬জানুয়ারী, আমাদের অন্নদাতাদের, দেশের রাজধানী তাঁদের হাতেই সুরক্ষিত থাকুক। চোর, চৌকিদার, পরধান সেভকের হাতে নয়।