Written By দীপঙ্কর গুহ
এই সেই অশ্বিন পত্নীর টুইট। ছবিঃ সৌ-টুইটার।
অস্ট্রেলিয়া সফরে টিম ইন্ডিয়ার হাঁড়ির খবর চান? আপনার কি টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে? তাহলে অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। আপনি ফলো করতে শুরু করুন। কাকে? ভারতীয় দলের অভিজ্ঞ অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্ত্রী প্রীথি অশ্বিনকে। টুইটারে ব্রিসবেনের নাম বদলে # (হ্যাশট্যাগ) দিয়ে লিখলেন -কোয়ারেনটাইনবেন (#Quarantinebane )! হোটেলে বন্দি দশায় থেকে শহরের জনমানবহীন ছবিও পোস্ট করলেন। কিন্তু স্বয়ং অশ্বিন চোখের জল আটকাতে পারেননি প্রীথির টুইট পড়ে। কেন! শুনুন সেই " টুইটার টক-এর কাহিনী। পরাজয়ের ভ্রূকুটি এড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ড্র করে ভারত। এরপরই অশ্বিনের স্ত্রী টুইটারে লেখেন- মানুষটা গত রাতে প্রচণ্ড কোমরের ব্যথা নিয়ে ঘুমোতে গিয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যথার জন্য সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারছিল না। এমনকি জুতার ফিতা বাঁধার জন্যও ঝুঁকতে পারছিল না। তারপরও মাঠে যে লড়াইটা করল তা অবিশ্বাস্য। স্ত্রীর এমন টুইটের পর অশ্বিন লেখেন- " তোমার টুইট পড়ে সত্যিই কেঁদে ফেললাম। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।" হারের শঙ্কা এড়িয়ে জয়ের সমান ড্রয়ে ভারতের হয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ, চেতেশ্বর পুজারা ও রোহিত শর্মা। এই তিনজন ব্যক্তিগতভাবে পঞ্চাশ রানের ইনিংস টপকে আউট হলেও কাজের কাজটা করেছেন ভারতীয় তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অলরাউন্ডার হনুমা বিহারী। তৃতীয় টেস্টের শেষ দিনের শেষ সেশেনের আগে জুটিতে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে ক্রিজে থেকে ২৫৯ বল মোকাবেলা করে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬২ রান যোগ করেন অশ্বিন-বিহারী। তাঁদের মূল লক্ষ্যই ছিল উইকেটে আঁকড়ে পড়ে থাকা। রানের জন্য খেললে হয়তো আউট হয়ে যেতেন, তখন হেরে যেত ভারত। দলের পরাজয় এড়াতেই দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। অশ্বিন-বিহারীর এমন দায়িত্বশীল জুটিতেই ভর করে সিডনি টেস্ট ড্র করতে পারে ভারত। অথচ এই টেস্টে চোটে জর্জরিত ছিল ভারত। রবীন্দ্র জাদেজার বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে ফ্যাকচার হয়। চোট লাগায় ঋষভ পন্থ দুই দিন ধরে কনুইয়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। সেই ব্যথা নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ বলে খেলেন ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। হনুমা বিহারের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আক্রান্ত ছিলেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভুগছিলেন প্রচণ্ড লোয়ার ব্যাক পেনের ব্যথায়।