Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
আগামী মাসেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে। গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু হওয়ার আগেই ভোটপর্ব সেরে ফেলতে চাইছে কমিশন। এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত মিলেছে তাতে ২০১৬ সালের মতোই বাংলায় ৭ দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে মে মাসের ৩-৪ তারিখ নাগাদ। এই মাসের শেষ দিকেই কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসছে রাজ্যে। তাঁরা এসে জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার ও মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানেই চূড়ান্ত হবে ভোটের সময়সূচি যা কমিশন ফিরে গিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণা করবে।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় এসেছেন সুদীপ জৈন। গতকাল বুধবার তিনি দুই দফায় বৈঠক সেরেছেন রাজ্যের সব জেলার ডিএম ও এসপিদের সঙ্গে। আজ বৃহস্পতিবার তিনি বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে। কোভিডের আবহে রাজ্যের ভোটপর্ব কীভাবে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা যায় তা নিয়েই এদিন বৈঠক হবে। তবে গতকালের বৈঠকেই জৈন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট ঘোষণা করে এপ্রিলেই শেষ হবে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেইমতো এখন থেকেই নির্বাচন সংগঠিত করতে প্রশাসনিক কর্তাদের কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোনওরকম বিশৃঙ্খলা ও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। এ রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সব রকম সম্ভাব্য পদক্ষেপ করবে কমিশন।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ সুপারদের যত শীঘ্র সম্ভব জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলি কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রশাসনিক কর্তাদের কমিশনে রিপোর্ট দিতে বলেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। যত শীঘ্র সম্ভব অভিযোগ শূন্যতে নামিয়ে আনতে হবে। কর্তব্যে গাফিলতি হচ্ছে মনে হলে শোকজ না করে সরাসরি অপসারণের পথে হাঁটবে কমিশন সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। সে কারণে আপাতত বিহার মডেলকে সামনে রেখেই প্রশাসনিক কর্তাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। এবার রাজ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ বুথ বাড়তে চলেছে। সংখ্যার নিরিখে যা ২৮ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়াবে। এটা কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সে কথা মাথায় রেখেই অতিরিক্ত ভোট কর্মী ব্যবস্থা করতেও এদিন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন সুদীপ জৈন। এছাড়াও বুথগুলিতে যাতে শারীরিক দূরত্ববিধি রাখা যায় এখন থেকেই তার ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে। এমনকি ৮০ বছরের ঊর্দ্ধে ভোটারদের জন্য থাকছে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা।