Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল শোধ করলেন গোয়ার পান্ডিতা। রবিবার আই এস এল-এ।
এটিকে মোহনবাগান—১ এফ সি গোয়া—১
(এডু গার্সিয়া) (পন্ডিতা)
বিরক্তিকর ফুটবল। তা সত্বেও মোহনবাগান হয়তো ম্যাচটা জিতে যেত। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে গোল খেয়ে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হল এক পয়েন্টেই। এর ফলে এগারো ম্যাচের শেষে মোহনবাগানের পয়েন্ট হল একুশ। আর বারো ম্যচ খেলে গোয়ার পয়েন্ট হল উনিশ। মগ ডালে থেকে গেল মুম্বই সিটি। তাদের পয়েন্ট দশ ম্যাচে পঁচিশ। তবে রবিবার গোয়া যে দাঁতনখহীন ফুটবল খেলল তার জয় দায়ী তাদের কোচ খুয়ান ফেরান্ডো। যে ইগর আঙ্গুলো এগারো ম্যাচে নটা গোল করেছেন, তাঁকে মাঠেই নামালেন না। আর যাঁকে নামালেন সেই ওরতিজ সারাক্ষণ ঘুরেই বেড়ালেন। গোল দুটি ছাড়া আর বলার মতো ঘটনা, প্রথমার্দ্ধে এডু গার্সিয়ার কর্নার থেকে শুভাশিস বসুর হেড বারে লেগে ফিরে আসা। আর দ্বিতীয়ার্দ্ধে গোয়ার ব্রেন্ডনের দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফেরা। এ ছাড়া দু দলের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য কিংবা মহম্মদ নওয়াজকে তেমন কোনও কঠিন শট ধরতে হয়নি। সংখ্যাতত্বের বিচারে গোয়ার বল পসেসন ৬২ শতাংশ থাকলে কী হবে, গোলের সুযোগ তৈরি হল কোথায়? বাগানের ব্যাক ফোরের কাছে আটকে গেল গোয়ার প্লেয়াররা, না হয় সুবিধেজনক জায়গা থেকে বিশ্রি শটে বাইরে মারল।
মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও হাবাসের বিরুদ্ধে আভিযোগ তিনি ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলতেই ভালবাসেন। রবিবসারীয় সন্ধ্যায় হাবাস কিন্তু চেষ্টা করেছিলেন অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে। আপফ্রন্টের দুই ফুটবলার ডেভিড উইলিয়ামস আর রয় কৃষ্ণের মধ্যে গোল পাওয়ার জন্য ছটফটানি ছিল। কিন্তু তাদের দিকে বল বাড়াবার লোক কোথায়? এডু গার্সিয়াকে চেনা যায় সেট পিসের সময়। কর্নার কিক কিংবা ফ্রি কিকটা ভাল মারেন। কিন্তু একটা দুর্দান্ত থ্রূ পাস কি বেরিয়েছে মোহনবাগানের দশ নম্বরের পা থেকে, যার পরিসমাপ্তি ঘটেছে গোলের মধ্যে। যত দিন যাচ্ছে কার্ল ম্যাকহিউ যেন প্যাসেঞ্জার হয়ে যাচ্ছেন। মাঝ মাঠের বাকি দুজন বঙ্গসন্তান। তাদের মধ্যে প্রবীর দাস ডান দিক থেকে বল নিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁর পা থেকে ভাল সেন্টার কিংবা পাস বেরোল কোথায়? আর দলের সর্ব কণিষ্ঠ শেখ সাহিল ডিফেন্সিভ ভূমিকাতেই সন্তুষ্ট।
উল্টো দিকে গোয়া কোচ ইগর আঙ্গুলোকে শুরু থেকে নামাননি। যে লোকটা নটা গোল করে বসে আছেন, তাঁকে নব্বই মিনিট সাইড লাইনে বসে ম্যাচ দেখতে হয়। আসলে আই এস এল তো ফ্রাঞ্চাইজি ফুটবল। ফ্যান বেস নেই। তাই কোচেরা যা ইচ্ছে করতে পারেন। ঢ্যাবঢেবে ম্যাচটা হঠাৎ-ই জেগে উঠল ৭৫ মিনিটে। একটা ওভারহেড লব তাড়া করছিলেন রয় কৃষ্ণ। বক্সের ঠিক বাইরে তাঁকে ফাউল করলেন গোয়ার ডিফেন্ডার। যে জায়গায় ফ্রি কিক পেয়েছিল বাগান, সেখান থেকে গোল না হওয়া অপরাধ। এডু গার্সিয়া কোনও ভুল করেননি। তাঁর চমৎকার শট ডিফেন্সিভ ওয়ালে লেগে গোলে ঢুকে যায়। নওয়াজের কিছু করার ছিল না। দশ মিনিটের মধ্যে গোলশোধ। কর্নার থেকে পান্ডিতা গোল শোধ করে দেন।