Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ' সাসপেন্ড ' হয়ে যাওয়ার কারণে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বুঝতেই পারছেন এবার তাঁকে শীঘ্রই অফিস ছাড়তে হবে আর তাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাজ বন্ধ করেছেন তিনি। নিজের পুরো দায়িত্বই উপরাষ্ট্রপতি মাইক পেন্সের হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদায় বেলা যে আসন্ন তা বেশ বুঝতে পারছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার হোয়াইট হাউস থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর অফিসের শেষ দিনের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার কথাও বিবেচনা করেছিলেন তিনি। তবে আপাতত নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের সকালেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পকে যারা চেনে তারা বলছেন যে কোন মুহূর্তে তাঁর সিদ্ধান্ত আবার পরিবর্তনও করতে পারেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রীতিমতো জাঁকজমকপূর্ণই হওয়ার কথা। সেখানে হাজির থাকার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথিতযশা তারকাদেরও। তবে ট্রাম্প এখনও বাইডেনকে সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি জানাতে বা নিজের উত্তরাধিকারীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইচ্ছুক নন।যদিও বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি পেন্স সদ্যই নব নির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসকে ডেকেছিলেন এবং তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে সব রকম সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছেন। তবে ট্রাম্প- বাইডেন সম্পর্ক এখনও বরফের মতো শীতল।
এর আগে, ট্রাম্প খুব দ্রুত ঐতিহ্য অনুসারে ক্যাপিটল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের জন্য কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন না করেই শহর ত্যাগ করার চেষ্টায় ছিলেন । যদিও মার্কিন ঐতিহ্য শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরই। এখন শোনা যাচ্ছে ট্রাম্প হয়তো বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতেও পারেন তবে নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে কোনও রকম বৈঠকের সম্ভাবনা নেই তাঁর। তবে ট্রাম্প প্রশাসন শপথগ্রহণের প্রাক্কালে হোয়াইট হাউস থেকে পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউয়ের ঠিক পরেই যেখানে ব্লেয়ার হাউসে বাইডেন এবং তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন থাকেন তাঁদের আমন্ত্রণের ঐতিহ্যপালন করেছে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ব্যক্তিগত উগ্রবাদের ফলশ্রুতিতে ট্যুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প খানিকটা যেন মিইয়েই গেছেন। মার্কিন মুলুকের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের জন্য যে মানুষটা এতদিন কঠোর লড়াই করে এসেছেন, শত্রু- মিত্র কিছুই দেখেননি তিনিই এখন দায়িত্ব থেকে সম্পূর্ণ সরে এসেছেন। পাশাপাশি ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য তাঁর আইনজীবীরাও তাঁকে বারেবারে সতর্ক করেছেন। আইজীবীর সাবধানবাণী শোনার পর তিনি যেন আরও নিঃশ্চুপ হয়ে পড়েছেন।