Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
ঠিকানা বদল করলেন দাউদ ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরা। পাকিস্তানে ছিলেনই দাউদের পরিবার। তবে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে বারেবারেই দাউদ এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে সমস্যা বাড়ছিল পাকিস্তানে। মূূলত করাচি থেকেই দাউদ তাঁর কাজকারবার চালান, বারংবার উঠছিল এমন অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহল বলছে আন্তর্জাতিক চাপেই ঠিকানা বদলাতে বাধ্য হল দাউদের পরিবার। ঠিকানা বদলালেন দাউদের ছেলে। তাঁর ভাইয়ের সন্তানরা।
ক্রমশ বাড়ছিল আন্তর্জাতিক মহলের চাপ। দাউদ ইব্রাহিমকে আশ্রয় দিয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল পাকিস্তান। এবার সেই চাপের কাছেই নতিস্বীকার করল ইমরান খানের দেশ। ঠিকানা বদলানেন দাউদ ইব্রাহিমের পরিবারের মূল সদস্যরা। নতুন ঠিকানায় গেলেন দাউদের ছেলে, তাঁর ভাইয়ের সন্তানরা। এর আগে শোনা যাচ্ছিল দাউদ ইব্রাহিম তাঁর বড় মেয়ে তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের পুত্রবধূর জন্য পুর্তগালের পাসপোর্টের ব্যবস্থা করেছেন। সূত্রের খবর, দাউদের ছোট ভাই মুস্তাকিম আলি কাসকর অনেক দিন আগেই দুবাইয়ে স্থায়ী ঠিকানা গেড়েছেন। সেখান থেকেই তিনি আরব ইমিরেটস্, বাহারিন এবং কাতারে ডি - কোম্পানির যাবতীয় কাজকর্ম সামলান। শোনা যাচ্ছে জামা- কাপড়ের ব্যবসায়ী এহেন মুস্তাকিমই করাচি থেকে দুবাইতে উড়ে যাওয়া দাউদ পরিবারের বাকিদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিয়েছেন। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর খবর অনুযায়ী করাচিতে বসবাস করা দাউদের অপর এক ভাই আনিস ইব্রাহিমকেও বেশ কিছুদিন ধরে করাচিতে দেখা যাচ্ছে না। দাউদের সঙ্গী ছোটা শাকিলের আপাতত সেভাবে কোনো খোঁজ খবর নেই।
দাউদের অপর এক ভাই নরুল হকের মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানেই। অন্য ভাই সাবির আহমেদ ১৯৮১ সালে মুম্বই শ্যুট আউটে প্রাণ হারান। তারপর থেকেই সাবিরের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন দাউদ নিজেই। ব্রিটেনের এক ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ের পর প্রায়শই করাচি- ব্রিটেন যাতায়াত করেন দাউদের ছেলে মৈইন কাসকর। ২০১৯সাল পর্যন্ত ডনের করাচির বাংলোতেই সস্ত্রীক বসবাস করতেন মৈইন. করাচি, লাহোর এবং আরবে ডি- কোম্পানির রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা চালান মৈইন। আন্তর্জাতিক মহলে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের চাপে পড়ে জইশ-ই-মহম্মদের মৌলানা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইমরান সরকার মনে করছে ইন্টারপোলের চাপে খুব শিগগিরই দাউদ ইব্রাহিমের নামেও হয়তো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হবে। এর আগেও যতবারই গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রসঙ্গ উঠেছে ততবারই ডি- ফ্যামিলির সদস্যরা নিজেদের ঠিকানা বদলে ফেলেছেন রাতারাতি। এবারটাও তার ব্যক্তিক্রম হল না।