Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রতি বছর পদ্ম সম্মান প্রাপকের তালিকা প্রকাশ করে ভারত সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের পদ্ম সম্মান প্রাপকের তালিকা। এবছর পদ্মবিভূষণ প্রাপকের সংখ্যা ৭। ১০ জন পাচ্ছেন পদ্মভূষণ পুরস্কার। পদ্মশ্রী প্রাপক ১০২ জন। এবার পদ্মবিভূষণ বা পদ্মভূষণ পুরস্কার বাংলার ঝুলিতে না এলেও পদ্মশ্রী–তে ভূষিত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সাত বাঙালি।শিল্পজগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রবীণ কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ পাচ্ছেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান। হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টে–খ্যাত নারায়ণ দেবনাথ আজও জনপ্রিয়।নারায়ন দেবনাথের জন্ম ও বেড়ে ওঠা শিবপুর, হাওড়া, ভারতে। তাঁর জন্ম ১৯২৫ সালে। পারিবারিক আদি বাসস্থান বাংলাদেশের বিক্রমপুর অঞ্চলে হলেও তাঁর জন্মের আগেই পরিবার শিবপুরে এসে স্থায়ী ভাবে বসবাস করা শুরু করে। অল্প বয়স থেকেই শিল্পের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। পারিবারিক পেশা স্বর্ণকার হওয়ায় অলঙ্কার প্রভৃতির নকশা করার সুযোগ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি আর্ট কলেজে পাঁচ বছরের ডিগ্রির জন্য লেখাপড়া শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা চালিয়ে যাননি, শেষ বর্ষে এসে পড়া ছেড়ে দেন। এর পরে কিছু বছর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থার জন্য কাজ করেন। সে সময় বাংলা কমিকস বলতে ছিল এক মাত্র প্রতুলচন্দ্র লাহিড়ির আঁকা শেয়াল পন্ডিত, যা তখন যুগান্তরে প্রকাশিত হত। হাঁদা ভোঁদা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠকদের সমাদর পায় এবং শুকতারা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে। শুরুতে দেবনাথ নিজেই হাঁদা ভোঁদায় অঙ্কন ও কালি বসানোর কাজ করতেন। পরবর্তীতে তা গ্রেস্কেলে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হয়। নারায়ণ দেবনাথের প্রথম রঙিন কমিক স্ট্রিপ ছিল বাঁটুল দি গ্রেট।এছাড়া শান্তিপুরের তাঁতশিল্পী বীরেনকুমার বসাককে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দিচ্ছে ভারত সরকার। খেলাধুলো বিভাগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘পদ্মশ্রী’–তে ভূষিত হলেন অর্জুন পুরস্কার জয়ী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মৌমা দাস এবং সামাজিক কাজে নিজের ছাপ ফেলে ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন সাঁওতাল সমাজের গুরুমা কমলি সোরেন।সাহিত্য ও শিক্ষায় ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন ধর্মনারায়ণ বর্মা, সুজিত চট্টোপাধ্যায় ও জগদীশচন্দ্র হালদার। কামতাপুরী ভাষার প্রসারে বিশেষ অবদান রেখে কামতারত্ন হিসেবে পরিচিত হয়েছেন ধর্মনারায়ণ বর্মা। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘সদাই ফকিরের পাঠাশালা’র জন্য পরিচিত। বছরে দু’টাকা দক্ষিণায় ৩০০–রও বেশি পড়ুয়াকে পড়ান তিনি।