Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন অযোধ্যায় শুরু হচ্ছে ‘বিকল্প বাবরি নির্মাণে’র কাজ। ধানিপুর মসজিদ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হতে চলেছে অযোধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয়। কেন্দ্রকে ১টি নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর বিকল্প বিকল্প জমি বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এরপর উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যার সোহাল তহসিলের ধানিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর মসজিদটির নকশা প্রকাশ করা হয়। উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত আইআইসিএফ ট্রাস্টের সচিব এবং মুখপাত্র অথর হুসেন জানিয়েছেন, ধানিপুর মসজিদ প্রকল্পে ১টি হাসপাতাল, ১টি সংগ্রহশালা, ১টি গ্রন্থাগার, ১টি কমিউনিটি কিচেন, ইন্দো-ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র, ১টি প্রকাশনা ঘর ও ১টি মসজিদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অযোধ্যার ধানিপুর গ্রামে ১৫ হাজার বর্গফুটের একটি মসজিদ নির্মিত হবে।সেটি বাবরি মসজিদের আকারের সমান হবে কিন্তু মসজিদের আকৃতি অন্য মসজিদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। এর ব্লুপ্রিন্টে যদিও মিনারযুক্ত একটি বৃত্তাকার মসজিদের কথা বলা হয়েছে কিন্তু প্রকল্পের আর্কিটেক্ট এস এম আক্তার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এটি সৌদি আরবের মক্কার কাবা শরীফের মতো বর্গাকার আকারের হতে পারে।এই প্রকল্পের প্রথম ছবিগুলি ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে আসে। ট্রাস্টের সচিব আথার হুসেন বলেছেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময় ‘বিদ্রোহের বাতিঘর’ হিসাবে পরিচিত মৌলভী আহমাদুল্লাহ শাহের নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ হতে পারে। ট্রাস্ট গঠনের পরে, মসজিদটির নাম মুঘল সম্রাট বাবর বা অন্য কোনও নাম দেওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়। ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ৮ টায়। প্রকল্পের ৫ একর জমিতে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারপর প্রধান ট্রাস্টি এবং আইআইএফএফের সদস্য ট্রাস্টিরা বৃক্ষরোপন করেন।পুরো এলাকা জুড়ে থাকবে গাছপালা। অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়া দাবানল- বিশ্বের বিভন্ন জায়গা থেকে যখন গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার খবর আসছে তখন ভারত এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার জন্য ও জলবায়ু পরিবর্তন উত্থাপিত করার জন্য তারা এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।