Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করে ফিরছেন হায়দরাবাদের আরিদেন সালধানা। সোমবার গোয়ায়।
হায়দরাবাদ এফ সি-২ এটিকে মোহনবাগান—২
(আরিডেন সালধানা, রোল্যান্ড আলবার্গ) (মনবীর, প্রীতম কোটাল)
ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় যখন হায়দরাবাদের চিংগ্লেনসানা লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে গেলেন তখন মনে হয়েছিল সোমবারই মোহনবাগান এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফেলবে। শেষ পর্যন্ত সেটা তো হলই না, বরং হার বাঁচল ৯৩ মিনিটে করা প্রীতম কোটালের গোল থেকে। যার ফলে ১৯ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট হল ৪০। তাদের বাকি রইল আর একটি ম্যাচ। ২৮ ফেব্রূয়ারি মুম্বই সিটি এফ সি-র সঙ্গে। মুম্বইয়ের অবশ্য এখন পারফরম্যান্সে খরা চলছে। শেষ কয়েকটি ম্যাচে হার এবং ড্র-এর জন্য মুম্বই এখন আঠেরো ম্যাচে ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। শেষ দুটি ম্যাচ যদি মুম্বই জেতে তাহলে মোহনবাগানের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ৪০ হবে। কিন্তু আই এস এল-এর নিয়মে প্রথম ম্যাচে মুম্বই মোহনবাগানকে হারানোয় তারাই কোয়ালিফাই করবে এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
তবে সে সব এখন অনেক দূরের ব্যাপার। এদিন তিলক ময়দানে দশ জনের হায়দরাবাদকে পেয়েও মোহনবাগানের কোনও রকমে ড্র করায় ময়দানের সেই পুরনো মিথটাই সামনে এসে গেল। ডার্বি জেতার পর জয়ী দলের পরের ম্যাচটা খুব ঝামেলার। বহু বার দেখা গেছে বিজয়ী দল হেরে গেছে সে ম্যাচে। এত দিন এটিকে ছিল। তারা তিন বার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। কিন্তু এবার যে সঙ্গে মোহনবাগান আছে। তাই ডার্বিও হয়েছে। এবং সে ম্যাচে জয়ী মোহনবাগান সেই ডার্বির মিথটাকেই প্রতিষ্ঠিত করল। অথচ মোহনবাগানিদের খেলায় কোনও আত্মতুষ্টির ব্যাপার ছিল না। বিশেষ করে রয় কৃষ্ণ এবং ডেভিড উইলিয়ামস শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিলেন। কিন্তু দুজনেই এদিন গোলের মুখ দেখলেন না।
চার মিনিটে লাল কার্ড দেখার পর চার মিনিট যেতে না যেতেই হায়দরাবাদ এগিয়ে গেল। একটা নিরীহ ব্যাক পাস মাঝ পথে ধরে হায়দরাবাদের ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার বলটা চোখের পলকে চমৎকার প্লেসিং করলেন। আরিন্দমকে হার মানিয়ে বল গোলে ঢোকার আগে শেষ চেষ্টা করেছিলেন শুভাশিস বোস। কিন্তু গোল বাঁচাতে পারেননি। গোলের খোঁচা খেয়ে বাগানিরা গোল শোধের আপ্রাণ চেষ্টা করলেও টাফ হায়দরাবাদ ডিফেন্স তাদের সে সুযোগ দেয়নি। শেষ পর্যন্ত গোলটা শোধ হল ৫৭ মিনিটে। ডেভিড উইলিয়ামস চমৎকার থ্রূ পাস বাড়িয়েছিলেন মনবীরকে। ডান প্রান্ত দিয়ে ছুটে মনবীর ভেতরে কাট করে এসে ছয় গজের বক্সের মধ্য থেকে উঁচু শটে গোল করলেন। এই সব গোল দেখার জন্যই লোকে মাঠে আসে।
হায়দরাবাদ আবার গোল করে ফেলে ৭৫ মিনিটে। মোহনবাগান বক্সের সামনে আরিদেন বল নামিয়ে দেন রোল্যান্ড আলবার্গকে। চোখের পলক ফেলবার আগেই তাঁর মাটি ঘেঁষা শট গোলের মধ্যে। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি হেরেই গেল বাগান তখন ৯৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে প্রীতম কোটাল ২-২ করে ফেললেন। এবং এই গোলটাই জানিয়ে দিল হারার আগে হারে না মোহনবাগান। হয়তো এই গোলটাই শেষ পর্যন্ত তাদের এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ভিসা পাইয়ে দেবে।